মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারিকের নেতৃত্বে বরমী ইউনিয়নের পাঠানটেক, বড়নল, কোষাদিয়া, বরকুল ও নান্দিয়াসাঙ্গুন গ্রামে এসব অভিযান চালানো হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- কাঁঠালিয়া গ্রামের আশরাফুল ইসলাম (১৮), পোসাদিয়া গ্রামের আব্দুল শাহীদ (৩৫) এবং বড়নল গ্রামের কফিল উদ্দিন (৬৫)। তাদেরকে বুধবার দুপুরে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পাঠানটেক গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মামুন আল মুজাহিদ ওরফে সুমন একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সুমন বাহিনীর টর্চার সেলগুলোতে রাতে চলতো মাদক সেবন ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। অনেক সময় নিরপরাধ ব্যক্তিদের অপহরণ করে নির্যাতনের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায় করতো এই বাহিনী।
ওসি আব্দুল বারিক জানান, গত রোববার রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে সন্ত্রাসী সুমন ও তার সহযোগী রাজিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুমন স্বীকার করে, তার নিয়ন্ত্রণাধীন বরমী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে পাঁচটি আস্তানা রয়েছে, যেখানে সে ও তার বাহিনী অপহরণ, নির্যাতন এবং চাঁদাবাজির মতো অপরাধ সংগঠিত করতো। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযানে দেশীয় অস্ত্র ও একটি ইয়ারগান উদ্ধার করা হয়, যা রাইফেল হিসেবে ব্যবহার করে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করতো।
আরও পড়ুন: চাঁদার জন্য 'টর্চার সেলে' নির্যাতন, ছাত্রদল নেতা গ্রেফতার
এর আগে, গত ২৮ আগস্ট সন্ধ্যায় শ্রীপুর উপজেলার নান্দিয়াসাংগুন এলাকার ত্রিমোহনী ব্রিজ থেকে সুমনকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু থানায় নেওয়ার পথে একাধিকবার তার সহযোগীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার টেংরা মোড়ে পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের দুটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয় এবং মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে পুলিশের কাছ থেকে সুমনকে ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা।
তবে তিনদিন পর রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে পুনরায় অভিযান চালিয়ে সুমন ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শ্রীপুর থানার ওসি বলেন, এটি আমাদের একটি বড় সাফল্য। সুমনের বাহিনী স্থানীয়দের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। তাদের দমন করায় সাধারণ মানুষ কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেয়েছে।