হৃদয় টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার শুকতার বাইদ গ্রামের বাসিন্দা। গাজীপুরের কোনাবাড়ীর গ্রিনল্যান্ড লিমিটেড নামে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন।
গত শনিবার (২৮ জুন) মোবাইল চুরির অভিযোগে কারখানার ভেতরে হৃদয়কে জানালার সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। মারধরের এক পর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়লে হৃদয়কে হাসপাতালে নেয়া হয়।
সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর মধ্যে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সিসিটিভিতে ধরা পড়া ফুটেজে দেখা যায়, হাত-পা বাধা অবস্থায় এক ব্যাক্তিকে টেনে হিচড়ে নিয়ে যাচ্ছে একদল যুবক।
আরও পড়ুন: পোশাক কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাইকে কেন্দ্র করে তাণ্ডব, ৮ কারখানা বন্ধ
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, কারখানার কতৃপক্ষের নির্দেশেই তাকে মারধর করা হয়েছে। মৃত্যু নিশ্চিত করার পর মরদেহ ঢাকায় পাঠানো হয় যেন আমরা জানতে না পারি। হৃদয় অপরাধী হলে আইন আছে। কিন্তু তাকে পিটিয়ে কেন হত্যা করা হলো?
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। গা ঢাকা দেয় মারধরের সাথে জড়িতরা। নিহত হৃদয়ে বড় ভাই লিটন মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে তদন্তে নামে পুলিশ। রোববার (২৯ জুন) রাতে অভিযান চালিয়ে হাসান মাহমুদ নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার অপরাধ (উওর) মো. রবিউল হাসান সময় সংবাদকে বলেন, এই ঘটনায় আমরা একজনকে গ্রেফতার করেছি। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আরও ৮ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের ধরতেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জড়িত কেউ ছাড় পাবে না।
আরও পড়ুন: যমুনার সামনে জমায়েত নিয়ে সতর্ক করল পুলিশ
]]>