স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাত্র দু’দিন আগে পরিবারসহ ভবানীপুরে একটি বাসায় ভাড়া ওঠেন ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডু গ্রামের বাসিন্দা মোজাম্মেল হক। ঘটনার দিন রান্না শেষ করে চুলা বন্ধ করার পরও ঘরের ভেতরে অজান্তেই গ্যাস জমে ছিল।
ফ্রিজ নষ্ট হওয়ায় রাকিব নামের এক স্থানীয় ইলেকট্রিশিয়ান তা মেরামতের জন্য ঘরে প্রবেশ করেন। ঘরে প্রবেশ করেই গ্যাসের গন্ধ পেয়ে তিনি মোজাম্মেলকে বিষয়টি জানান। এরপর মোজাম্মেল গ্যাস চুলা পরীক্ষা করতে গেলে মুহূর্তেই ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। এতে দু’জনই মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন।
দগ্ধ অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে গাজীপুরের একটি হাসপাতালে ও পরে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন। চিকিৎসকরা জানান, মোজাম্মেলের শরীরের প্রায় ৯৫ শতাংশ ও রাকিবের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়।
রাতেই মোজাম্মেল হকের মৃত্যু হয় এবং সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রাকিব।
আরও পড়ুন: হত্যার পর স্ত্রীকে ঘরে রেখে তালা লাগিয়ে আগুন দেন স্বামী!
বিস্ফোরণের তীব্রতায় ঘরের জানালার থাই গ্লাস ও দুটি দরজা সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই স্থানীয়দের খবর পেয়ে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদ আহমেদ বলেন, আমরা একজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছি। দ্বিতীয়জনের মৃত্যুর খবরও যাচাই করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।