এর আগে গত ১৭ মে ওই কারখানায় শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তবে সেদিন পানি পান করে শ্রমিকদের অসুস্থ হওয়ার কথা জানানো হয়। আজ অসুস্থ শ্রমিকদের কেউই পানি পান করেননি। তবে চিকিৎসক অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকে এমনটা হতে পারে বলে ধারণা করছেন।
জানা যায়, সকালে কারখানায় যোগ দেয়ার পর থেকেই শ্রমিকরা একে একে অসুস্থ হতে থাকেন। অসুস্থ শ্রমিকদের স্থানীয় সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বেশিরভাগ শ্রমিকই পেটে প্রচণ্ড ব্যথা, বমি, মাথা ঘুরানো নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানান হাসপাতালের চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: কলের পানি পান করে অর্ধশতাধিক শ্রমিক অসুস্থ, কারখানা বন্ধ
অসুস্থ শ্রমিকরা জানান, সকালে কারখানার কাজে যোগ দেয়ার পরই মাথা ঘোরায় এবং বমি বমি ভাব হয়। পরে কারখানার মেডিকেলে যাওয়ার সময় সিঁড়ি থেকে নামতেই কারখানার বমি হয় তাদের। পরে কারখানার গাড়ি দিয়ে হাসপাতালে যান শ্রমিকরা।
সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের রেজিস্টার ডা. সায়েম কবির জানান, ৮০ জনের মতো শ্রমিককে হাসপাতালের ইনডোরে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। প্রত্যেকটা রোগী বমি, পেটব্যথা, মাথা ঘুরানো নিয়ে আসছেন। কিছু ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট নিয়েও আসছেন। রোগীরা সবাই সুস্থ আছেন। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: মহাখালীতে খোলা হলো হিটস্ট্রোক সেন্টার, বিনামূল্যে মিলবে সেবা
তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসা বলতে আমরা যদি বলি, তাহলে তারা সাইকোলজিক্যালি একটু দুর্বল আছেন, এটাই আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। তারা পানি পানের কারণে বললেও গরম থেকেও এমনটা হতে পারে। আমরা ধারণা করছি, অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকেও এমনটা হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ মে একই কারখানার শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।