গাজায় ৪৮ ঘণ্টায় ১৪ হাজার শিশুর মৃত্যুর আশঙ্কা জাতিসংঘের

২ সপ্তাহ আগে
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষ চরম রূপ নিয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অনাহারে ১৪ হাজার শিশুর মৃত্যু হতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা করছেন জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার।

গাজায় ইসরাইলি অবরোধের কারণে তীব্র খাদ্য সংকট তৈরি হয়েছে। ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে প্রায় ২৪ লাখ বাসিন্দা। যুক্তরাষ্ট্রের চাপ ও তীব্র আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে ১০ সপ্তাহের অবরোধের পর গত রোববার (১২ মে) ত্রাণ সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

 

গাজার বেসামরিক জনগণের জন্য প্রতিদিন ৫০০ ট্রাক ত্রাণের প্রয়োজন। কিন্তু এর মধ্যে ইসরাইল গত সোমবার (১৯ মে) মাত্র ৫ ট্রাক ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেয়, যা প্রয়োজনের মাত্র ১ শতাংশ। মঙ্গলবার (২০ মে) বিবিসির রেডিও ফোরস টুডে প্রোগ্রামে গাজায় ইসরাইল যে পরিমাণ সাহায্য দিচ্ছে তা নিয়ে কথা বলেন টম ফ্লেচার।

 

আরও পড়ুন: গাজায় ‘শখের বশে’ শিশু হত্যা করছে ইসরাইল!

 

তিনি বলেন, ইসরাইল ১১ সপ্তাহের অবরোধ তুলে নেয়ার পর গতকাল গাজায় মাত্র পাঁচ ট্রাক ত্রাণ গেছে। এটা বাসিন্দাদের প্রয়োজনের তুলনায় একেবারের নগণ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা মরুভূমির মধ্যে এক ফোঁটা পানি ফেলার মতো’। 

 

তিনি আরও বলেন, শিশু খাদ্য ও পুষ্টিকর খাবারের লরিগুলো গাজার কাছাকাছি রয়েছে কিন্তু সীমান্তের ঠিক ওপারে থাকায় বেসামরিক লোকদের কাছে পৌঁছায়নি।

 

ফ্লেচার বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যদি গাজায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সাহায্য না পৌঁছে, তাহলে প্রায় ১৪ হাজার শিশু মারা যেতে পারে। তার কথায়, ‘আমি আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যতটা সম্ভব এই ১৪ হাজার শিশুকে বাঁচাতে চাই।’

 

আরও পড়ুন: এক হাজার ফিলিস্তিনিকে বিনা খরচে হজের আমন্ত্রণ সৌদি বাদশার

 

জাতিসংঘ কীভাবে এই সংখ্যা নিশ্চিত হলো এমন প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের একটি শক্তিশালী দল মাঠে আছে - এবং অবশ্যই তাদের অনেকেই নিহত হয়েছে... এরপরও আমাদের অনেক লোক এখনও মাঠে আছে - তারা চিকিৎসাকেন্দ্রে, স্কুলে আছে..।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন