গাজায় হামলা জোরদার করছে ইসরাইল

ফিলিস্তিনের গাজায় আরও আগ্রাসী পদক্ষেপের দিকে যাচ্ছে ইসরাইল। হাজারো সংরক্ষিত সেনা তলব করে শুরু হয়েছে বড় অভিযানের প্রস্তুতি। এ নিয়ে নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠক করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

ইসরাইলি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার (৪ মে) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা জরুরি বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে গাজা উপত্যকায় সামরিক হামলা জোরদারের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চলতি মাসের মাঝামাঝিতে সৌদি আর্ব, কাতার ও আরব আমিরাত সফর করবেন। তার এই সফরের পরই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি চুক্তির বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে।

 

আরও পড়ুন: সিরিয়ার আকাশে ‘মুখোমুখি’ ইসরাইল-তুরস্কের যুদ্ধবিমান!

 

টাইমস অব ইসরায়েল বলছে, নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজায় সাহায্য সরবরাহ পাঠানোর একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গভির ছাড়া বাকি সবাই পরিকল্পনার পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

 

এমন সিদ্ধান্তের মধ্যেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ইসরাইলের আকাশে। ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের দাবি, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে দেশটির বেন গুরিওন বিমানবন্দরে। এতে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে বিমান চলাচল।

 

এদিকে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেস লক্ষ্য করে ইসরাইলের একাধিক হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। বলেন, সিরিয়াকে আরেকটি যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে তেল আবিব। ঘোষণা দেন, আঙ্কারা তা হতে দেবে না।

 

আরও পড়ুন: ইসরাইলগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ঘুরে গেল আবুধাবিতে

 

তুরস্কের এই অবস্থানের প্রভাব পড়েছে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওপর। তুরস্ক আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়ায় আজারবাইজান সফরে যেতে চেয়েও পারেননি তিনি।

 

এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতে মধ্যস্থতাকারী কাতারকে প্রকাশ্যে আক্রমণ করলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। দাবি করেন, কাতার উভয়পক্ষের সঙ্গে খেলা করছে। তবে, অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে কাতার বলছে, ইসরাইল রাজনৈতিক ও নৈতিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ।
 

]]>