সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউসে নেতানিয়াহুর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে গাজা যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ২০-দফা শান্তি প্রস্তাব প্রকাশ করেন ট্রাম্প।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে পাশে রেখে ট্রাম্প এই প্রস্তাবকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে বর্ণনা করেছেন, যা ইসরাইল এবং অন্য মিত্র দেশগুলো গ্রহণ করেছে বলে তিনি দাবি করেন। তবে হামাসের পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক সম্মতি মেলেনি।
গাজা নিয়ে ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে মুসলিম আট দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ২০ দফার ‘শান্তি পরিকল্পনা’ উপস্থাপনের পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতিতে দিয়েছেন আটটি মুসলিম দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: গাজা যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের ২০ দফা প্রস্তাবনায় কী কী আছে
বিবৃতি দেয়া আটটি মুসলিম দেশ হলো সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, মিশর, জর্ডান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তান।
বিবৃতিতে আরব ও মুসলিম বিশ্বের নেতারা বলেন, এই অঞ্চলে শান্তি নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাম্পের পরিকল্পনায় যুদ্ধের সমাপ্তি, গাজা পুনর্গঠন, ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুতি প্রতিরোধ এবং সামগ্রিক শান্তি প্রক্রিয়া অগ্রসর করার দিকগুলো বিশেষভাবে উল্লেখ করেন তারা।
বিবৃতিতে গত সপ্তাহে ট্রাম্প পশ্চিম তীরকে ইসরাইলের সঙ্গে সংযুক্ত করতে দেবেন না বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন সেই ঘোষণারও প্রশংসা করা হয়।
আরও পড়ুন: কাতারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মন্ত্রীরা চূড়ান্ত চুক্তি সম্পন্ন ও বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্র ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলকভাবে কাজ করতে প্রস্তুত, যাতে এই অঞ্চলের জনগণের জন্য শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গাজা যুদ্ধের অবসানে একটি সমন্বিত চুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে—অবাধ মানবিক সহায়তা পৌঁছানো, ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুতি না ঘটানো, জিম্মিদের মুক্তি, সব পক্ষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যবস্থা গ্রহণ, ইসরাইলের সেনাদের পূর্ণ প্রত্যাহার, গাজা পুনর্গঠন এবং ন্যায়সঙ্গত শান্তির পথ তৈরি।
এছাড়া এই শান্তি প্রক্রিয়া দুই-রাষ্ট্র সমাধানের ভিত্তিতে হবে, যেখানে গাজা ও পশ্চিম তীর একত্রে আন্তর্জাতিক আইনের আলোকে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে—যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মূল চাবিকাঠি।
]]>