গাজার দীর্ঘ প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি তিন ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন বাইডেন। প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পাশাপাশি বন্দি বিনিময়ের কথা রয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের কার্যক্রম নিয়ে স্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়া হলেও বাইডেন জানান, পরবর্তী পর্যায়ে স্থায়ীভাবে যুদ্ধ শেষ হবে গাজায়।
আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে চুক্তিটি। প্রথম ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে ছয় সপ্তাহ। এসময় গাজায় হামলা-সংঘাত সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। যুদ্ধবিরতি শুরুর দিন ৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। এরপর ৬ সপ্তাহে পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেয়া হবে আরও ৩৩ জনকে। এদের মধ্যে নারী, বয়স্ক এবং শারীরিকভাবে অসুস্থদের প্রাধান্য দেয়া হবে।
এছাড়া গাজার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা ঘরে ফেরার অনুমতি পাবেন। পাশাপাশি, প্রতিদিন ৬০০টি পর্যন্ত ত্রাণবাহী ট্রাক উপত্যকাটিতে প্রবেশ করতে পারবে বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর হামলা জোরদার ইসরাইলের, নিহত ৭৩
যুদ্ধবিরতির সাতদিনের মধ্যে খোলা হবে রাফাহ সীমান্ত। আহত ফিলিস্তিনিরা চিকিৎসার জন্য গাজার বাইরে যেতে পারবেন। এছাড়া মিশর-গাজার মধ্যকার ফিলাডেলফি করিডোর থেকে ইসরাইলি বাহিনীর ৫০ দিনের মধ্যে পুরোপুরি সরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপ কবে থেকে শুরু হবে সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বিরতির প্রথম স্তর শেষ হওয়ার আগেই। এ চুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ফিলিস্তিনি নেতার বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, বিরতির ১৬তম দিন থেকে এ বিষয়ে আলোচনা শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, বিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ে স্থায়ীভাবে যুদ্ধ শেষ হবে গাজায়। প্রথম পর্যায়ের জিম্মিদের মুক্তির পর অবশিষ্টদের মুক্তি দেয়া হবে দ্বিতীয় পর্যায়ে। এসময় ইসরাইলি সেনাদের হাতে আটক হওয়া এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকেও মুক্তি দেবে তেল আবিব। তৃতীয় ধাপে বাকি জিম্মিদের মরদেহ হস্তান্তর এবং আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে গাজার পুনর্গঠনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে।
আরও পড়ুন: গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলে পদত্যাগ করার হুমকি ইসরাইলি মন্ত্রীর
এদিকে, এই চুক্তি কার্যকরের পর গাজার প্রশাসন পরিচালনায় কারা দায়িত্ব পালন করবে তা নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। যুক্তরাষ্ট্র একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং আন্তর্জাতিক অংশীদাররা দায়িত্ব পালন করবে। তবে আরব দেশগুলো বলেছে, তারা এ পরিকল্পনাকে সমর্থন করবে যদি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়।
]]>