গাজায় যুদ্ধবিরতি: ইরান ও প্রতিরোধ ফ্রন্টকে ধন্যবাদ জানাল হামাস

২ সপ্তাহ আগে
গাজায় ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর ইরান ও ইরান সমর্থিত প্রতিরোধ ফ্রন্টকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন প্রেস টিভি এ খবর জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যস্থতায় টানা ১৫ মাসের সংঘাতের পর বুধবার (১৫ জানুয়ারি) গাজায় দ্বিতীয় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে একমত হয় ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। কাতারি ও মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।

 

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদনের পরই হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর উপপ্রধান খলিল আল-হাইয়া এক ভাষণে গাজায় ইসরাইলবিরোধী লড়াইয়ে ইরানের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। 

 

হাইয়া ইরান, লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী এবং ইরাকি প্রতিরোধ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান। গাজায় যুদ্ধবিরতি বিষয়ে ইসরাইলের সঙ্গে আলোচনায় ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি দলের প্রধান ছিলেন হাইয়া। 

 

হামাসের এই নেতা তার ভাষণে বলেন, আমরা ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের ভাইদের স্মরণ করি এবং ধন্যবাদ জানাই, যারা আমাদের প্রতিরোধ যুদ্ধ এবং আমাদের জনগণকে সমর্থন করেছিলেন এবং যুদ্ধে প্রবেশ করেছিলেন। শুধু তাই নয়, অপারেশন ট্রু প্রমিজ-১ ও অপারেশ ট্রু প্রমিজ-২ চালিয়ে ইহুদিবাদী সত্তার হৃদয় বিদ্ধ করেছিলেন।

 

আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতি চুক্তি: ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনীর প্রশংসা খামেনির

 

হিজবুল্লাহর প্রশংসা করে এই কর্মকর্তা বলেন ‘হিজবুল্লাহকে ধন্যবাদ পবিত্র অধিকৃত শহর আল-কুদসের (জেরুজালেম) মুক্তির পথে শত শত শহীদ, নেতা ও যোদ্ধাকে উৎসর্গ করার জন্য, যার নেতৃত্বে ছিলেন মহাসচিব সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ।’

 

গাজায় ও লেবাননে ইসরাইলি সরকারের নৃশংস সামরিক আগ্রাসনের জবাব দেয়ার জন্য ইয়েমেনের হুতি প্রতিরোধ গোষ্ঠী এবং ইরাকি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের চালানো হাজার হাজার প্রতিশোধমূলক অভিযানের কথাও উল্লেখ করেন এই কর্মকর্তা।

 

তিনি অধিকৃত পশ্চিম তীরে বিশেষ করে জেনিন শরণার্থী শিবিরে, আল-কুদসে এবং অধিকৃত অন্যান্য ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদেরও ধন্যবাদ জানান এই হামাস নেতা। ইসরাইলের ব্যাপারে খলিল আল-হাইয়া বলেন, যুদ্ধের সময় গাজার মানুষ যে দুর্ভোগ সহ্য করেছে তার জন্য হামাস ইসরাইলকে ক্ষমা করবে না।

 

আরও পড়ুন: গাজাকে নিজের পায়ে দাঁড় করাতে সব করবে তুরস্ক: এরদোয়ান

 

গাজায় ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসনে বেশিরভাগ আরব দেশ চুপ থাকলেও হাত গুটিয়ে বসে থাকেনি ইরান। ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শুরু থেকেই ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনীর পাশে ছিল খামেনির দেশ। এমনকি দুই দুইবার ইসরাইলের ভেতরে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় তেহরান। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন