হামাস পরিচালিত গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালযের একজন মুখপাত্র বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে ১২ ঘণ্টারও কম সময়ে ইসরাইলি বাহিনীর স্থল ও বিমান হামলায় অন্তত ১০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্টে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালযের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল উত্তর গাজার পরিস্থিতিকে ‘রক্তাক্ত এবং কঠিন দিন হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: গাজায় ‘অনেক মানুষ অনাহারে’, বললেন ট্রাম্প
গাজার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শুক্রবার ভোর থেকে ইসরাইল স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রে বড় আকারে আক্রমণ শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, যুদ্ধজাহাজ, বিমান হামলা এবং ট্যাঙ্ক থেকে গুলি বর্ষণসহ ‘সব দিক থেকে আক্রমণ’ করা হয়েছে।
বিবিসির গাজা সংবাদদাতা রুশদি আবুআলুফ বলেন, মার্চের শুরুতে গাজায় পুনরায় হামলা শুরুর পর উত্তর গাজায় সবচেয়ে ব্যাপক স্থল আক্রমণ চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা।
এদিকে গাজায় ইসরাইল ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ করে দেয়ার পর উপত্যকাটির অনেক বাসিন্দা অনাহারে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুক্রবার (১৬ মে) মধ্যপ্রাচ্য সফরের শেষ মুহূর্তে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরাইলি বাহিনীকে প্রযুক্তি সহায়তার অভিযোগ অস্বীকার মাইক্রোসফটের
তিনি বলেন, ‘আমরা গাজার দিকে নজর রাখছি। আমরা পরিস্থিতির যত্ন নেব। সেখানে অনেক মানুষ অনাহারে রয়েছে।’
সম্প্রতি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন। গত সপ্তাহে নেতানিয়াহু এক ঘোষণায় বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ হওয়ার আগেই হামাস অবশিষ্ট বন্দিদের মুক্তি দিতে কোনো চুক্তিতে সম্মত হতে ব্যর্থ হলে সামরিক অভিযান জোরদার করা হবে।
১০ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে গাজায় খাদ্য ও মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরাইল। সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপত্যকার প্রায় ২১ লাখ মানুষ গুরুতর দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে।