শুক্রবার (২৭ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা সিটি থেকে দেইর আল বালাহ- গেল ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে। হামলার কবল থেকে রেহাই পায়নি আশ্রয়কেন্দ্রগুলোও। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
নেটজারিম করিডোরের খাদ্য সহায়তা বিতরণকেন্দ্রে অপেক্ষমাণ অবস্থায় গুলিতে নিহত হয়েছেন কয়েকজন ফিলিস্তিনি। আহতও হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
আরও পড়ুন: এখন গাজায় ভবিষ্যত কৌশল নিয়ে বৈঠকে বসবেন নেতানিয়াহু
এদিকে গাজা সরকার জানিয়েছে, গত এক মাসে বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের পরিচালিত সহায়তাকেন্দ্রে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৪৯ জন।
এক বিবৃতিতে গাজার মিডিয়া অফিস জানায়, চার সপ্তাহ আগে মার্কিন ও ইসরাইলি সমর্থিত জিএইচএফ পরিচালিত বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে মানবিক সহায়তা আনতে গিয়ে কমপক্ষে ৫৪৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪ হাজার ৬৬ জন আহত হয়েছেন।
বিবৃতিতে ত্রাণ কেন্দ্রগুলোকে ‘মৃত্যুর ফাঁদ’ আখ্যা দিয়ে সংস্থাটি বলছে এসব ঘটনায় এখনো ৩৯ ফিলিস্তিনি নিখোঁজ রয়েছেন।
অন্যদিকে সহায়তা কার্যক্রম বন্ধ করতে বৃহস্পতিবার আবারও কড়া অবস্থান নেন ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গভির। বলেন, উপত্যকাটিতে মানবিক সহায়তা পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে। এই সহায়তাকে ইসরাইলের জন্য লজ্জাজনক বলে আখ্যা দেন তিনি। তার মতে, যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুর জন্য সহানুভূতির কোনো স্থান নেই।
আরও পড়ুন: ত্রাণ বিতরণের নামে ‘মৃত্যুর ফাঁদ’, চার সপ্তাহে ৫৪৯ ফিলিস্তিনিকে হত্যা
আল জাজিরা বলছে, হামাসের হাতে সহায়তা যাওয়ার আশঙ্কায় গাজায় সহায়তা সরবরাহ দুই দিনের জন্য বন্ধ রেখেছে ইসরাইল। এরইমধ্যে উত্তর গাজাগামী সহায়তা করিডোরগুলো বৃহস্পতিবার বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইল। এতে দুর্ভিক্ষের মুখে থাকা লাখো মানুষের জন্য সরাসরি সহায়তা প্রবেশ পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে গাজায় আটক ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে তেল আবিবে জড়ো হন তাদের পরিবার। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরাইলি সরকারের প্রতি যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানান তারা। রাজনৈতিক স্বার্থে জিম্মিরা বলি হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তারা।