প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় নিখোঁজ ৩ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ। যাদের অর্ধেকই শিশু। তবে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৬ হাজার ১৫৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
গত প্রায় ২০ মাস ধরে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন চলছে। এতে এক সময়েল সাজানো-গোছানো গাজা শহর কার্যত ধ্বংসস্তূপ। সরকারি হিসাবে নিহতের সংখ্যা ৫৬ হাজার বলে জানানো হচ্ছে। এছাড়া আরও কয়েক হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ অবস্থায় রয়েছে।
তবে এবার এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ভিন্ন চিত্র। ইসরাইলি অধ্যাপক ইয়াকভ গার্বের নেতৃত্বে পরিচালিত গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় নিখোঁজ হয়েছেন অন্তত ৩ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ। যাদের মধ্যে অর্ধেকই শিশু। অর্থাৎ, প্রায় ১ লাখ ৮৮ হাজার শিশুর খোঁজ নেই। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি হতে পারে।
আরও পড়ুন: গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে বড় অগ্রগতি হয়েছে, বললেন ট্রাম্প
নিখোঁজের প্রকৃত চিত্র বুঝতে গার্ব ব্যবহার করেছেন স্থানিক ম্যাপিং ও ডেটা অ্যানালাইসিস। যুদ্ধ-পূর্ব গাজায় ছিল ২২ লাখ ২৭ হাজার মানুষের আবাস। এখন শহরজুড়ে জনসংখ্যা মাত্র ১৮ দশমিক ৫ লাখ। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এই ফাঁকা অংশটাই প্রমাণ করে শুধু বাস্তুচ্যুত নয়, জনসংখ্যার একটি বিরাট অংশ হয়তো মারাই গেছে।
প্রতিবেদনটিতে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের কাঠামোকে দায়ী করেছে। বলা হয়েছে, সহায়তা কেন্দ্রগুলোর অবস্থান, পরিকল্পনা ও নকশা ছিল স্পষ্টভাবে সামরিক কৌশল নির্ভর। অধিকাংশ কেন্দ্র 'বাফার জোনে' থাকায় সাধারণ মানুষের পক্ষে সেখানে পৌঁছানোই ছিল জীবন ঝুঁকির নামান্তর।
একেকটি সহায়তা কেন্দ্র কার্যত হয়ে উঠেছিল বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতার ফাঁদ। ছিল না ছায়া, পানি, শৌচাগার বা নিরাপদ প্রবেশপথ। ছিল একমুখী প্রবেশপথ, ভিড়, আর সেনাবাহিনীর গুলির ঝুঁকি। গার্ব লিখেছেন, এগুলো সহায়তার নয় বরং নিয়ন্ত্রণের কেন্দ্র। যা মানবিকতার ছদ্মবেশে সংঘর্ষের প্ররোচণা দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘বাজেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে’: ইরান
]]>