ইসরাইলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধবিরতির গুঞ্জনের মধ্যেও গাজায় চলছে বর্বর হামলা। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকাটিতে নেতানিয়াহু বাহিনীর হামলায় প্রাণ গেছে অন্তত ৮১ ফিলিস্তিনির। একই সময়ে আহত হয়েছেন ১৬৩ জন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ নিয়ে ইসরাইলি হামলায় গাজায় মোট নিহত ৫৪ হাজার ৫৬ জনে পৌঁছেছে। এই সময়ে মোট আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ২৩ হাজার ১২৯ জন। নেতানিয়াহু বাহিনীর বোমাবর্ষণের কারণে ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেক ফিলিস্তিনি নিখোঁজ রয়েছেন।
এরইমধ্যে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, হামাসের কাছে থাকা জীবিত অথবা মৃত জিম্মিদের দেশে ফেরত আনতে হামলা আরও জোরদার করবেন।
তিনি বলেন, ‘আজ না পারলে কাল, কাল না পারলে পরশু। আমরা থামবো না। আমরা সবাইকে ফিরিয়ে আনব, জীবিতদের এবং মৃতদের।’
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের সঙ্গে আপস করতে রাজি ইরান!
এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের দেয়া প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। তবে ইসরাইল এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে বলে টাইমব অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদন মতে, গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে পাওয়া প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে হামাস। চুক্তির খসড়া অনুযায়ী, হামাস দুই ধাপে ইসরাইলের ১০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে। বিনিময়ে গাজা উপত্যকা থেকে আংশিক সেনা প্রত্যাহারের পাশাপাশি ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করবে ইসরাইল।
আরও পড়ুন: গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে রাজি হামাস
এছাড়া প্রস্তাব অনুযায়ী, ইসরাইল বহু ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে, যাদের মধ্যে কয়েকশজন ইসরাইলি কারাগারে দীর্ঘমেয়াদে সাজা ভোগ করছেন। তবে ইসরাইলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
হামাসের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে, চুক্তির আওতায় গাজায় প্রতিদিন ১ হাজার ট্রাক ত্রাণ প্রবেশের কথা রয়েছে এবং যুদ্ধবিরতির পঞ্চম দিনের মধ্যে গাজার গুরুত্বপূর্ণ এলাকা থেকে ইসরাইলকে সরে যেতে হবে।
]]>