বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ভ্যাটিক্যানের বিভিন্ন বিভাগের নেতৃত্ব দেয়া ক্যাথলিক কার্ডিনালদের সঙ্গে একটি বৈঠকে অংশ নেন পোপ ফ্রান্সিস। এসময় গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলাকে 'নিষ্ঠুরতা' বলে অভিহিত করেন তিনি।
গত শুক্রবার গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ২৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন।
পোপ ফ্রান্সিস আরও বলেন, বড়দিন সামনে রেখে শুক্রবার জেরুজালেমে খ্রিষ্টধর্মালম্বীদের সঙ্গে দেখা করতে গাজা উপত্যকায় যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে অনুমতি দেয়া হয়নি।
জেরুজালেমে পোপের অনুমাতি না পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রয়টার্সকে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে প্যাট্রিয়ার্কের অফিস।
আরও পড়ুন: গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা ৯০ শতাংশ সম্পন্ন
এদিকে ইসরাইলে আগ্রাসনের মধ্যে গাজায় নেই বড়দিনের আমেজ। পশ্চিম তীরের শহর বেথলেহেমে বড়দিন ঘিরে সব উৎসব বাতিল করা হয়েছে। শহরটির মেয়র জানিয়েছেন, এ বছর বড়দিন শুধু প্রার্থনা আর ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।
এর আগে শুক্রবার ইসরাইল সরকারের একজন মন্ত্রী প্রকাশ্যে পোপের নিন্দা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, সামরিক অভিযান ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা কিনা তা বিশ্ব সম্প্রদায়ের আরও অধ্যয়ন করা উচিত।
ইসরাইলি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুর্ভাগ্যবশত, পোপ এই সমস্ত কিছু উপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যুদ্ধে যেকোনো নিরপরাধ ব্যক্তির মৃত্যু একটি ট্র্যাজেডি।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলায় একই পরিবারের ৭ শিশু নিহত
মন্ত্রণায়ল আরও বলেছে, ‘ইসরাইল নিরপরাধ মানুষের ক্ষতি কমাতে সবরকমের প্রচেষ্টা চালায়। অন্যদিকে হামাস ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরাইলের বর্বর সামরিক আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে। এতে ৪৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখের বেশি মানুষ।
]]>