গাজায় ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেয়ার আহ্বান মার্কিন আইনপ্রণেতাদের

৩ দিন আগে
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় দ্রুত ও অবিলম্বে ত্রাণ সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রায় ১০০ জন মার্কিন আইনপ্রণেতা। গাজায় চলমান দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির মধ্যে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষকে গাজা অবরোধ তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। মিডল ইস্ট আই’র এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের প্রায় দুই মাসের অবরোধ ও টানা বোমাবর্ষণের কারণে চরম খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। অনাহারে মৃত্যুর মুখে পড়েছে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। অনেক পরিবার দিনে এক বেলা খেয়ে থাকছে। পচা ময়দা বিক্রি হচ্ছে স্বাভাবিক দামের ৩০-৪০ গুণ বেশিতে। কাঠ বা বাতিল প্লাস্টিক ছাড়া অন্য কোনো জ্বালানি নেই।

 

অথচ এদিকে সীমান্তে গাজায় প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে শত শত ত্রাণবাহী ট্রাক। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত ত্রাণ সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিতে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানালেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা।

 

প্রতিবেদন মতে, মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের কমপক্ষে ৯৪ জন ডেমোক্র্যাট দলীয় আইনপ্রণেতা গাজায় অবিলম্বে মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেয়ার জন্য ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। 

 

আরও পড়ুন: হামাস আর যুদ্ধবিরতি আলোচনায় আগ্রহী নয়: সিনিয়র কর্মকর্তা

 

চিঠিতে তারা বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইলের শক্তিশালী সম্পর্কের সমর্থক হিসেবে আমরা গাজা উপত্যকায় সকল মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দেয়ার বর্তমান ইসরাইলি নীতির বিরোধিতা করছি।’

 

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত ইয়েচিয়েল লেইটার এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে লেখা চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর আরোপিত ক্ষতির পাশাপাশি এটি কৌশলগতভাবে বিপরীতমুখী এবং ইসরাইলের আন্তর্জাতিক অবস্থান এবং দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর হবে।’

 

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তাকারী জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউ এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি উভয়ই জানিয়েছে, গাজায় খাদ্য মজুদ এখন শেষ হয়ে গেছে। এদিকে জীবন রক্ষাকারী ত্রাণ সহায়তার সরবরাহ সীমান্ত ক্রসিংগুলোতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।

 

আরও পড়ুন: সমুদ্রে ডুবল মার্কিন নৌবাহিনীর আরেক যুদ্ধবিমান

 

ত্রাণ সহায়তাকর্মীরা সতর্ক করে বলছেন, অবরোধ, প্রবেশাধিকারের সীমাবদ্ধতা, চলমান ইসরাইলি সামরিক অভিযান এবং ক্রমবর্ধমান লুটপাটের মধ্যে উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়ছে এবং প্রতিদিন তা আরও গভীর হচ্ছে।
 

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন