সোমবার প্রকাশিত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনে বি’তসেলেম বলেছে, ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালাচ্ছে।
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের নীতি এবং এর ভয়াবহ পরিণতি, এবং হামলার লক্ষ্য সম্পর্কে ইসরাইলি রাজনীতিবিদ এবং সামরিক কমান্ডারদের বক্তব্য পর্যালোচনার পর তারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে বলেও জানায় সংগঠনটি।
আরও পড়ুন:ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামলা জোরদারের ঘোষণা ইয়েমেনের
এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যম সিএনএন মন্তব্যের জন্য ইসরাইলি সরকার এবং সেনাবাহিনীর সাথে যোগাযোগ করেছে।
তবে, ইসরাইল ধারাবাহিকভাবে যুক্তি দিয়ে আসছে যে, তারা আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে কাজ করছে এবং ৭ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে হামাসের মারাত্মক হামলার পর তারা গাজায় আত্মরক্ষার জন্য অভিযান শুরু করেছে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, যখন অন্যান্য, অ-ইসরাইলি গোষ্ঠীগুলো ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যা বা গণহত্যার অভিযোগ এনেছে, তখন ইসরাইলি সরকার ক্ষোভের সাথে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বিবৃতিগুলোকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং দাবি করেছে অভিযোগগুলো ইহুদি-বিদ্বেষের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে।
এদিকে, ৭৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বি’তসেলেম বলছে, গাজার বাস্তবতা এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, হামাসকে নির্মূল করা বা এর সামরিক সক্ষমতা ভেঙে ফেলার প্রচেষ্টা হিসেবে একে ন্যায্যতা বা ব্যাখ্যা করা যায় না।
দলটি বলেছে, গাজায় ইসরাইলের আক্রমণের মধ্যে রয়েছে গণহত্যা সরাসরি আক্রমণ এবং বিপর্যয়কর জীবনযাত্রার পরিস্থিতি তৈরির মাধ্যমে অবকাঠামোর ব্যাপক ধ্বংস, সামাজিক কাঠামো ধ্বংস, গণগ্রেফতার এবং বন্দিদের নির্যাতন, জাতিগত নির্মূলের প্রচেষ্টাসহ ব্যাপকভাবে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি।
এতে আরও বলা হয়েছে যে, সংঘাতের পুরো সময়টাতে ইসরাইলি নেতাদের দেয়া বিবৃতি থেকে গণহত্যার অভিপ্রায় প্রকাশ পেয়েছে।
আরও পড়ুন:‘সাময়িক বিরতির’ মধ্যেও গাজায় মৃত্যুর মিছিল, নিহত আরও ৬৩
কিন্তু বি’তসেলেম যদিও গাজার পরিস্থিতির জন্য ইসরাইলি সরকারকে দায়ী করেছে তবুও তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে গণহত্যায় মদদ দেয়ার অভিযোগ করেছে।
সূত্র: সিএনএন
]]>