গাজায় ইসরাইলের গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ

২ সপ্তাহ আগে
গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় শাহবাগ টু বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট পর্যন্ত তারা এই বিক্ষোভ মিছিল করে।


সমাবেশে সংগঠনটির ঢাকা মহানগর আয়োজিত বিক্ষোভে অংশ নিয়ে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে মুসলিম উম্মাহকে ধ্বংসের পায়তারা করছে একটি গোষ্ঠী।


ইসরাইলকে একটি জঙ্গিগোষ্ঠী আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে একটি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করতে চায় তারা কোনও রাষ্ট্র হতে পারে না।’


সাদ্দাম বলেন, ‘পৃথিবীতে ২০০ কোটি মুসলমান থাকলেও আজ গাজার মুসলিমরা অভিভাবকশূন্য। ফিলিস্তিনের নারী, পুরুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা ইসরাইলি বাহিনীর নির্মম গণহত্যার শিকার হচ্ছে। মুসলিম দেশগুলোর দ্বারা বেষ্টিত দখলদার ইসরায়েল মুসলমানদের পবিত্র ভূমি দখল করছে, অথচ আল্লাহ প্রদত্ত নেয়ামতপ্রাপ্ত শক্তিশালী মুসলিম দেশগুলো নির্বিকার। পরিস্থিতি এমন যে, মুসলিম নেতারা যেন ইসরাইলের হাতে জিম্মি।’
 


আরও পড়ুন: গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ঢাবি শিক্ষকদের মানববন্ধন


ইসরাইল ও তাদের সহযোগী দেশগুলোর পণ্য বয়কটের আহ্বান জানিয়ে সাদ্দাম বলেন, ‘বিচ্ছিন্ন কিছু জায়গায় বয়কটের নামে দোকানপাটে লুটপাট হচ্ছে, এগুলো আমরা সমর্থন করি না।’ 


এসময় আগামীকাল সারাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও বাসার ছাদে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি ও পরশু ঢাকাস্থ বিভিন্ন দেশের দূতাবাসগুলোতে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিবির সেক্রেটারি। 


সমাবেশে বক্তারা অন্য বক্তারা বলেন, পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুসলমানদের পবিত্রতম ভূমি, মুসলমানদের প্রথম কিবলা মসজিদুল আকসাধন্য ফিলিস্তিনকে আমাদের চোখের সামনে মুছে ফেলা হচ্ছে। প্রতি মূহুর্তে বোমার আঘাতে মানুষের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ শহীদ হয়েছেন এবং এক লাখ ১৪ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহীদের মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। অথচ মানবাধিকার সংগঠন, মুসলিম কমিউনিটি ও মুসলিম স্বার্থ রক্ষায় গঠিত সংস্থাগুলো নিশ্চুপ থেকে ওই গণহত্যা প্রত্যক্ষ করছে, কোনো কার্যকর পদক্ষেপ আমরা লক্ষ্য করছি না।’


তারা আরও বলেন, ‘অভিশপ্ত ইহুদি জাতির পতন সময়ের ব্যাপার। সারাবিশ্বের মুসলমানরা আজ জেগে উঠেছে। আমরা বাংলাদেশ থেকে স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, ফিলিস্তিনে আর কোনো বোমা পড়লে তার দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে। ফিলিস্তিন মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রশিবির ঘরে ফিরে যাব না। সারাবিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের সঙ্গে আমরা রাজপথে অবস্থান করব, ইনশাআল্লাহ।


সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম চলমান এই আন্দোলনকে শান্তিপূর্ণভাবে পালন করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে সমাবেশ সমাপ্ত ঘোষণা করেন।


পরে বিক্ষোভ মিছিলটি শাহবাগ থেকে শুরু হয়ে মৎস্য ভবন, প্রেস ক্লাব হয়ে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন