গাজায় ইসরাইলি বোমাবর্ষণে আরও ৭৮ ফিলিস্তিনি নিহত

৩ সপ্তাহ আগে
গাজায় সরকারি খাদ্য সহায়তা কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থানে ইসরাইলি আগ্রাসনে একদিনে আরও ৭৮ ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে। এরইমধ্যে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় নতুন গতি আসবে বলে আশাবাদী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ফিলিস্তিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা ওয়াফার বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, সোমবার (১৪ জুলাই) দক্ষিণ গাজার রাফায় একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরাইলি হামলায় ত্রাণ নিতে আসা কমপক্ষে পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

 

ওয়াফা বলছে, গত দুই মাসে ইসরাইল ও মার্কিন-সমর্থিত বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত ত্রাণ কেন্দ্রের কাছে ত্রাণ সহায়তা নিতে গিয়ে অন্তত ৮৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের একটি বাস্তুচ্যুত শিবিরে ইসরাইলি হামলায় নয়জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। এছাড়া মধ্য গাজার বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বিমান হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন।

 

যুদ্ধবিরতি নিয়ে মধ্যস্থতাকারীদের তৎপরতার মধ্যেই ইসরাইলি বাহিনী উত্তর গাজা এবং গাজা শহরেও আবার হামলা জোরদার করেছে।

 

আরও পড়ুন: রাফায় ইসরাইলের ‘কনসেনট্রেশন ক্যাম্প’ বানানোর পরিকল্পনার নিন্দা বিরোধীদের

 

গাজা শহরের অভ্যন্তরে ইসরাইলি একটি ট্যাঙ্ক রকেট হামলার শিকার হয় সাধারণ মানুষ। আহত সেনাদের হেলিকপ্টারে সরিয়ে নেয়ার দৃশ্য ছড়িয়ে পড়ে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমে। পরে ইসরাইলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে, ওই ঘটনায় তিন সেনা নিহত হয়েছে।

 

দেইর আল-বালাহ থেকে আল জাজিরার তারেক আবু আযম বলেন, ইসরাইলি বাহিনী তুফাহ এবং শুজাইয়া পাড়ার আশেপাশে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে অনেক বাসিক ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে।

 

ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, সোমবার ইসরাইলি হামলায় গাজা সিটিতে কমপক্ষে ২৪ ফিলিস্তিনি নিহত ও বহু আহত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে আশার সুর শুনিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গাজা নিয়ে ভালো অগ্রগতি হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: ইসরাইলি বর্বরতা / গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল ৫৮ হাজার

 

এই যুদ্ধের মাঝেই জাতিসংঘ হুঁশিয়ারি দিয়েছে, গাজায় যদি নিয়মিত জ্বালানি প্রবেশ করতে না পারে, তবে জীবনরক্ষাকারী মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার ১৩০ দিন পর প্রথমবারের মতো সামান্য জ্বালানি প্রবেশ করলেও তা এক দিনের চাহিদাও পূরণ করতে পারেনি। এ কারণে বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে হাসপাতাল, পানি সরবরাহ ও জরুরি ত্রাণ সহায়তা

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন