প্রতিবেদন মতে, মঙ্গলবার (২৪ জুন) ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্সি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইসরাইল-ইরান যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘আমরা গাজা উপত্যকাকে অন্তর্ভুক্ত করে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি।’ গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কথা বলেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিও। যুদ্ধবিরতি কার্যকরে আন্তর্জাতিক কূটনীতি জোরদারের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কেবলমাত্র সমন্বিত কূটনীতিই শান্তি নিশ্চিত করতে পারে।
সংঘাতের ১২ দিনের মাথায় মঙ্গলবার (২৪ জুন) ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তবে গাজায় ইসরাইলের গণহত্যার যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। বেড়ে চলেছে হতাহতের সংখ্যাও।
আরও পড়ুন: গাজায় একদিনে ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত, প্রাণহানি ছাড়াল ৫৬ হাজার
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলের হামলায় আরও ৭৯ জন নিহত হয়েছেন। যুদ্ধ শুরুর পর গত প্রায় বিশ মাসে উপত্যকায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা ৫৬ হাজার ছাড়িয়েছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর টানা বোমাবর্ষণে উপত্যকায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬ হাজার ৭৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া একই সময়ে আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৮৪৮ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের মার্চে মাসে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভাঙার পর থেকে ইসরাইল ৫ হাজার ৭৫৯ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এই সময়ে ১৯ হাজার ৮০৭ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইসরাইল-ইরান যুদ্ধবিরতি ‘লঙ্ঘনে’ উদ্বেগ কাতারের
]]>