সোমবার ভোরে ভারী কামান এবং বিমান বাহিনীর আওতায় ট্যাঙ্ক এবং সামরিক যানবাহন শহরে প্রবেশ করে। এরপর স্থল ও বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী।
ইসরাইল গাজার মধ্যাঞ্চলের দেইর আল-বালাহ শহরে আগে কখনও স্থল আক্রমণ চালায়নি।
আরও পড়ুন:আল শারা সরকারকেও বিশ্বাস করে না ইসরাইল
গাজার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ট্যাঙ্কের গোলাগুলিতে কমপক্ষে তিনজন ফিলিস্তিনি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন, যা এলাকার আটটি বাড়ি এবং তিনটি মসজিদে আঘাত হেনেছে।
সেনাবাহিনী হামাস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করার পরিকল্পনা করে বাসিন্দাদের এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়ার একদিন পরই এই হামলা চালানো হয়।
অভিযান এবং বোমাবর্ষণের ফলে অবশিষ্ট কয়েক ডজন পরিবার পালিয়ে পশ্চিমে দেইর আল-বালাহ এবং কাছাকাছি খান ইউনিসের উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে যাত্রা করতে বাধ্য হয়।
সোমবার খান ইউনিসে ইসরাইলি বিমান হামলায় একটি তাঁবুতে থাকা কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হন। যার মধ্যে একজন পুরুষ, তার স্ত্রী এবং তাদের দুই সন্তানও ছিলেন।
দেইর আল-বালাহ এবং খান ইউনিসের হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ইসরাইলি কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সংঘাতের সময় সরিয়ে নেয়ার আদেশের অধীন তারা দেইর আল-বালাহ জেলায় প্রবেশ করেনি এবং তারা এই অঞ্চলে শত্রুর ক্ষমতা এবং সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস করার জন্য প্রবল শক্তির সাথে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:২০ বছর কোমায় থাকা সৌদির ‘ঘুমন্ত যুবরাজের’ মৃত্যু