রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ইসরাইলি ট্যাঙ্কগুলো সাবরা, তেল আল-হাওয়া, শেখ রাদওয়ান এবং আল-নাসের এলাকায় তাদের আক্রমণ আরও তীব্র করেছে। এছাড়া গাজা শহরের কেন্দ্রস্থল এবং পশ্চিমাঞ্চলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ আশ্রয় নিচ্ছে।
আরও পড়ুন:ইরানের ওপর কার্যকর হচ্ছে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা
এর আগে ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা শহরে দীর্ঘ-হুমকিপূর্ণ স্থল আক্রমণ শুরু করে ১৬ সেপ্টেম্বর। নগর কেন্দ্রে কয়েক সপ্তাহ ধরে তীব্র হামলার পর, শত শত ফিলিস্তিনিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে, যদিও অনেকেই এখনও রয়ে গেছেন।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার গাজা নিয়ে একটি চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা প্রকাশ করার পর, রোববার হামাস জানিয়েছে, তারা মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে কোনো নতুন প্রস্তাব পায়নি।
এছাড়া সোমবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সাথে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দেখা করার কথা রয়েছে।
ইসরাইলে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের একজন মুখপাত্র পৃথকভাবে বলেছেন যে, রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি এই অঞ্চলে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসগুলোর মধ্যে নিয়মিত কূটনৈতিক পরামর্শের অংশ হিসেবে মিশরীয় কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করার জন্য মিশর ভ্রমণ করবেন।
ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে মিশরও কাজ করে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, গাজার সিভিল ইমার্জেন্সি সার্ভিস শনিবার রাতে জানিয়েছে, গাজা সিটিতে আহত ফিলিস্তিনিদের উদ্ধারের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে পাঠানো ৭৩টি অনুরোধ ইসরাইল প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন:ইরানকে সমস্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম হস্তান্তর করার দাবি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র!
এ বিষয়ে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। সেনাবাহিনী এর আগে বলেছিল যে, বাহিনী শহরে অভিযান সম্প্রসারণ করছে এবং ইসরাইলি সেনাদের দিকে ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপকারী পাঁচ জন, ইসরাইলি বিমান বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে।
]]>