গাজাজুড়ে ইসরাইলের বিমান হামলা, নিহত ১৬

১ দিন আগে
অবরুদ্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা ভূখণ্ডজুড়ে ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। বৃহস্পতিবার (৮ মে) স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাতে এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা।

প্রতিবেদন মতে, বৃহস্পতিবার ৫৭৯তম দিনের মতো গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এদিন গাজার মধ্যাঞ্চলে দেইর আল বালাহ ও নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হন। এছাড়া গাজা শহরের পূর্বে শুজাইয়া এলাকায় বোমা হামলায় একজন নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হন।

 

গাজার উত্তরাঞ্চলে বেইত লাহিয়ায় বিমান হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত ও আরও বেশ কয়েকজন আহত হন। উদ্ধারকারীরা এখনও সেখানে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে থাকা এক নারীর সন্ধান করছেন। হামলাস্থলটি বাস্তুচ্যুত মানুষে পূর্ণ ছিল।

 

খান ইউনিস শহরের পশ্চিম অংশে আশ্রয় নেয়া বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর ওপর ইসরাইলি গোলায় এক কিশোরী নিহত এবং আরও চারজন আহত হয়েছে। বিরামহীন হামলা চলছে। থামার কোনো লক্ষণ নেই। ফলে হতাহতের সংখ্যাও প্রতিনিয়ত বাড়ছে। 

 

আরও পড়ুন: সমুদ্রে ডুবল মার্কিন নৌবাহিনীর আরেক যুদ্ধবিমান

 

গত ১৮ মার্চ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে দুই মাসের যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর গাজায় ইসরাইলি হামলা শুরু করার পর বুধবারের হামলা ছিল সবচেয়ে মারাত্মক। এদিন গাজাজুড়ে ইসরাইলি বিমান হামলায় শতাধিক প্রাণ হারায়। গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের প্রায় দুই মাসের অবরোধ ও টানা বোমাবর্ষণের কারণে খাদ্য সংকট যখন চরমে তখনও এমন হামলা চালানো হচ্ছে।

 

এই সপ্তাহে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর পরিকল্পিত বর্ধিত হামলার বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দার মুখে পড়েছে। জাতিসংঘের সংস্থাগুলো গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করেছে। গত ১৯ মাসের যুদ্ধে গাজা এখন বিধ্বস্ত নগরীতে পরিণত হয়েছে।

 

এদিকে গাজায় দ্রুত ও অবিলম্বে ত্রাণ সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রায় ১০০ জন মার্কিন আইনপ্রণেতা। গাজায় চলমান দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির মধ্যে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষকে গাজা অবরোধ তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। মিডল ইস্ট আই’র এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: গাজায় ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেয়ার আহ্বান মার্কিন আইনপ্রণেতাদের

 

 

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন