এছাড়া হাসপাতালে হামলার সিদ্ধান্ত কীভাবে নেয়া হয়েছিল তা নিয়ে সেনাপ্রধান আরও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
সোমবার গাজা উপত্যকার দক্ষিণে অবস্থিত নাসের হাসপাতালে ইসরাইলি বাহিনী হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ২০ জনকে হত্যা করে। যাদের মধ্যে রয়টার্স, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস, আল জাজিরা এবং অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরাও ছিলেন।
আরও পড়ুন:গাজার ‘সাংবাদিকদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা’, রয়টার্স থেকে ফটো সাংবাদিকের পদত্যাগ
মঙ্গলবার সামরিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ শোশানি রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে, রয়টার্স এবং এপি সাংবাদিকরা হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিলেন না।’ তবে হামলায় আরও তিনজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
এদিকে, নিজস্ব ক্যামেরা সরঞ্জাম ব্যবহার করে, রয়টার্স প্রায়ই গাজা যুদ্ধের সময় নাসের হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত সংবাদ সম্প্রচার করেছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সংবাদ সংস্থাটি যে হাসপাতালের অবস্থানে আঘাত হেনেছে সেখান থেকে প্রতিদিনের সংবাদ পরিবেশন করে আসছিল।
সোমবার ইসরাইলি হামলার মুহূর্তে, রয়টার্সের ক্যামেরাম্যান হুসাম আল-মাসরি যে লাইভ ভিডিও ফিডটি পরিচালনা করছিলেন, তা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। ওই হামলায় মাসরি নিহত হন।
মঙ্গলবার প্রকাশিত এক লিখিত বিবৃতিতে ইসরাইলি সেনাবাহিনী ছয়জন ফিলিস্তিনির নাম উল্লেখ করেছে, যারা তাদের লক্ষ্যবস্তু ছিল। কিন্তু তাদের মধ্যে পাঁচজন সাংবাদিকের কেউই ছিলেন না। বিবৃতিতে হামাস এবং ইসলামিক জিহাদের কথিত সদস্যসহ নিহত ছয় ব্যক্তির ছবি অন্তর্ভুক্ত ছিল।
একই সাথে, জেনারেল স্টাফ প্রধান বেসামরিক নাগরিকদের যে কোনো ক্ষতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
লিখিত ইসরাইলি সামরিক বিবৃতিতে ‘বেশ কিছু ফাঁক’ চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানানো হয়, যা ইসরাইলের জেনারেল স্টাফ প্রধান আরও তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:ইসরাইলের ড্রোন হামলায় ৬ সিরীয় সেনা নিহত
প্রথমত, হামলার আগে অনুমোদন প্রক্রিয়া নিয়ে তদন্ত করা হবে। যার মধ্যে হামলার জন্য অনুমোদিত গোলাবারুদ এবং অনুমোদনের সময় অন্তর্ভুক্ত।
]]>