তিনি বলেন, ইসরাইল তাদের আক্রমণ তীব্র করায় একসাথে অনেক মানুষের নিরাপত্তা দেয়াটা কঠিন। তাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রায় ২৩ মাস ধরে চলা যুদ্ধের পর হামাসকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে গাজা উপত্যকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে ইসরাইল। গাজা সিটি থেকে আক্রমণ শুরু করেছে তারা।
আরও পড়ুন:ইসরাইলের হামলা / হুতি মন্ত্রিসভার ১২ সদস্য নিহত হওয়ার শঙ্কা
রেড ক্রসের সভাপতি মিরজানা স্পোলজারিক এক বিবৃতিতে বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণভাবে গাজা সিটি থেকে ব্যাপকভাবে মানুষকে স্থানান্তর করা অসম্ভব।
স্পোলজারিক বলেন, খাদ্য, আশ্রয় এবং চিকিৎসা সরবরাহের তীব্র ঘাটতির মধ্যে, এই স্থানান্তরের ফলে ব্যাপক জনসংখ্যার স্থানচ্যুতি ঘটবে যা গাজা উপত্যকার অন্য কোনো অঞ্চল গ্রহণ করতে সক্ষম নয়।
এদিকে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী শুক্রবার বলেছে যে, তারা ইসরাইল রাষ্ট্রকে রক্ষা করার জন্য গাজা উপত্যকায় সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে চলমান কৌশল এবং আক্রমণাত্মক অভিযানের পাশাপাশি মানবিক প্রচেষ্টাকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
এর আগে ইসরাইল বেসামরিক নাগরিকদের দক্ষিণে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
স্পোলজারিক আরও বলেন, গাজা শহরের অনেক মানুষ ক্ষুধার্ত, অসুস্থ বা আহত হওয়ার কারণে তাদের সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ মানতে পারবে না।
আরও পড়ুন:গাজায় সংঘাতে ইসরাইলি সেনা নিহত, নিখোঁজ আরও ৪
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অনুসারে, সরিয়ে নেয়ার আদেশ জারি করার সময় ইসরাইলকে বেসামরিক নাগরিকদের আশ্রয়, নিরাপত্তা এবং পুষ্টির সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
সূত্র: রয়টার্স
]]>