গাজা শান্তি চুক্তির এখনও যে অস্পষ্টতা রয়েছে

২ দিন আগে
ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছে ইসরাইল ও হামাস। বুহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ভোরে মিশরে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে টানা তিন দিনের আলোচনা শেষে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির ‘প্রথম ধাপে’ সম্মত হয় হামাস ও ইসরাইল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে বিষয়টি জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে গাজার শান্তি পরিকল্পনায় এখনো কিছু অস্পষ্টতা রয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির স্পেশাল করেসপনডেন্ট লুসি ম্যানিং বলেন, হামাস ও ইসরাইল যে বিষয়ে সম্মত হয়েছে তা মূলত যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময় পরিকল্পনা—যা যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবের শুধুমাত্র একটি অংশকে অন্তর্ভুক্ত করে।

 

যদিও গাজা যুদ্ধের জন্য এই পদক্ষেপকে একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, তবে কিছু মূল পয়েন্ট বাদ দেয়া হয়েছে।

 

বিশেষ করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ সম্পর্কে কোনো বিবরণ নেই; যা ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার অন্যতম মূল বিষয়।

 

আরও পড়ুন: ইসরাইলের কারাগার থেকে মুক্তি পেতে পারেন মারওয়ান বারগুতি, কে এই ফাতাহ নেতা?

 

এর আগে হামাস অস্ত্র ত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। গোষ্ঠীটি বলেছে, শুধুমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলেই তারা অস্ত্র ত্যাগ করবে।

 

এছাড়া মিশরে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে গাজার ভবিষ্যত শাসনব্যবস্থা নিয়েও স্পষ্ট কোনো কথা বলা হয়নি।

 

ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, হামাস গাজা উপত্যকার ভবিষ্যৎ প্রশাসনে কোনো ভূমিকায় থাকবে না। প্রস্তাব অনুযায়ী, অন্তর্বর্তী সময়ে অঞ্চলটি পরিচালনা করবে একটি ‘ট্যাকনোক্রেট, অরাজনৈতিক ফিলিস্তিনি কমিটি’, পরবর্তীতে যার দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে।

 

আরও পড়ুন: গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা কি ট্রাম্পের নোবেল জয়ের সম্ভাবনাও বাড়াল?

 

গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের পরিকল্পনা গ্রহণ করার পরও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজার ভবিষ্যৎ শাসনভার ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সম্পৃক্ততার বিরুদ্ধে চাপ প্রয়োগ করেছিলেন বলে মনে হচ্ছে।

 

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, ‘আমরা আমাদের জনগণের জাতীয় অধিকার থেকে কখনোই পিছপা হব না—যতক্ষণ না স্বাধীনতা, মুক্তি ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার নিশ্চিত হচ্ছে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন