বুধবার (২৫ জুন) নেদারল্যান্ডসের হেগে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি, আমরা খুব শিগগিরই ভালো কিছু খবর পাব।’ মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বিশেষ দূতের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি স্টিভ উইটকফের সাথে কথা বলছিলাম, যিনি এক অসাধারণ মানুষ এবং এই বিষয় সম্পর্কে অন্য যেকারো চেয়ে বেশি জানেন.. তিনি সহজ করে এটি ব্যাখ্যা করেন। তিনি সত্যিই খুব জ্ঞানী। তিনি আমাকে বলেছেন, [গাজায়] একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি খুব কাছাকাছি।’
ইরান ও ইসরাইলের সংঘাতের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়টি আড়ালে চলে যায়। তবে ১২ দিনের মাথায় গত মঙ্গলবার (২৪ জুন) ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। কিন্তু গাজায় ইসরাইলের গণহত্যার যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। বেড়ে চলেছে হতাহতের সংখ্যাও।
আরও পড়ুন: ইসরাইলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি / ইরানে গ্রেফতার ৭ শতাধিক, তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
এমন পরিস্থিতিতে ইসরাইল ও ইরানের যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আহ্বান জোরালো হচ্ছে। গত মঙ্গলবার (২৪ জুন) ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কার্যালয় প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্সি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইসরাইল-ইরান যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে।’
ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলন সামনে রেখে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করার কথা বলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিও। যুদ্ধবিরতি কার্যকরে আন্তর্জাতিক কূটনীতি জোরদারের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কেবলমাত্র সমন্বিত কূটনীতিই শান্তি নিশ্চিত করতে পারে।
বুধবার ন্যাটো সম্মেলনের অবসরে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন ট্রাম্প। গাজা যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে বড় অগ্রগতি হয়েছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, ইরানে মার্কিন হামলা প্রক্রিয়াটিকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করেছে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এটি (ইরানে হামলা) সাহায্য করেছে ..আলাদাভাবে, এর আগেও আমরা গাজা নিয়ে একটি চুক্তি করার খুব কাছাকাছি ছিলাম।’
আরও পড়ুন: পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম এফ-৩৫এ যুদ্ধবিমান কিনছে যুক্তরাজ্য
এদিকে হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর সাথে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর গাজা যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা ‘সাম্প্রতিক কয়েক ঘন্টায় তীব্রতর হয়েছে’।
]]>