যুদ্ধের অবসান, ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার, উপত্যকায় ত্রাণ প্রবেশ এবং বন্দি বিনিময়ের শর্ত রয়েছে এই চুক্তিতে। চুক্তির শর্ত পুরোপুরি মানতে ইসরাইলকে বাধ্য করার জন্য মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হামাস। অন্যদিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই চুক্তির পর সব জিম্মিকে ঘরে ফেরানোর অঙ্গীকার করেছেন।
গাজায় সংঘাত বন্ধে মিশরে গত সোমবার থেকে শুরু হয় হামাস-ইসরাইল পরোক্ষ আলোচনা। টানা তিনদিনের মাথায় বুধবার (৮ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া প্রস্তাবের প্রথম ধাপ মানতে সম্মত হয়েছে দুই পক্ষ।
হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপে সম্মতিপত্রে স্বাক্ষরের কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে এক বার্তায় তিনি জানান, এর ফলে খুব দ্রুত সব বন্দিকে মুক্তি দেয়া হবে এবং স্থায়ী শান্তির প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ইসরাইল তার সেনাদের একটি নির্দিষ্ট রেখা পর্যন্ত প্রত্যাহার করে নেবে।
আরও পড়ুন: গাজা ফ্লোটিলার ১৩০ অধিকারকর্মীকে জর্ডান পাঠালো ইসরাইল
এই ‘ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন’ ঘটনা সম্ভব করার জন্য কাতার, মিশর ও তুরস্কের মধ্যস্থতাকারীদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের ঘোষণার পরপরই বিবৃতি প্রকাশ করে হামাস। সেখানে গাজায় যুদ্ধের সমাপ্তি, ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার, উপত্যকায় সহায়তা প্রবেশ এবং বন্দি বিনিময়ের শর্ত সংবলিত একটি চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়।
একই সঙ্গে হামাস এই চুক্তির শর্ত সম্পূর্ণরূপে কার্যকর করতে এবং ইসরাইলকে তা এড়িয়ে যেতে বা বিলম্ব করতে না দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, আরব মধ্যস্থতাকারী এবং আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারিও নিশ্চিত করেছেন, যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার প্রথম পর্বের ‘সমস্ত শর্ত এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া’ নিয়ে একটি চুক্তি হয়েছে। এটি যুদ্ধ বন্ধ, জিম্মি ও বন্দিদের মুক্তি এবং সাহায্যের প্রবেশের দিকে নিয়ে যাবে, যার বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
আরও পড়ুন: ইসরাইলের হাতে আটকের আগে যে বার্তা দেন শহিদুল আলম
এই চুক্তির মাধ্যমে গাজায় চলমান সংঘাতের অবসান এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার একটি নতুন পথ উন্মুক্ত হলো। প্রথম ধাপের সফলতাই নির্ধারণ করবে মধ্যপ্রাচ্যে একটি শক্তিশালী, টেকসই ও চিরস্থায়ী শান্তি কতটা সুদূরপ্রসারী হবে।
]]>