অন্যদিকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে হামাস দেখিয়েছে যে, তারা এমন একটি চুক্তির জন্য আরও খোলামেলা আলোচনায় আগ্রহী যা গাজায় যুদ্ধবিরতির বাইরে ইসরাইলের সাথে সংকটের স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করবে।
গত ১৯ এপ্রিল ফিদান ও তুর্কি গোয়েন্দা প্রধান ইব্রাহিম কালিন আঙ্কারায় হামাস কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে গাজায় যুদ্ধবিরতির সর্বশেষ প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা হয়।
ফিলিস্তিনের গাজায় পাঁচ বছরে জন্য যুদ্ধবিরতির একটি চুক্তি করতে রাজি হয়েছে হামাস। এই চুক্তি অনুযায়ী যুদ্ধ বন্ধের পাশাপাশি হামাসের হাতে বন্দি বাকি সব জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হবে। মধ্যস্থতাকারী দেশ মিসরের সঙ্গে আলোচনার পর গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) এমনটা জানান হামাসের এক কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ইসরাইলে ফের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইয়েমেনের হুতি
গাজায় ১৮ মাসের বেশি সময় ধরা চলমান সংঘাতের মধ্যে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে দ্বিতীয়বারের মতো যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। কিন্তু এরপর গত ১৮ মার্চ থেকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে আবারও হামলা শুরু করে ইসরাইল। তারপর থেকে হামাস ও ইসরাইল আলোচনায় বসলেও যুদ্ধবিরতি নিয়ে একমত হতে পারেনি। এরই মধ্যে সম্প্রতি যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব দেয় মিশর।
নতুন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) হামাসের একটি প্রতিনিধি দল কায়রো সফর করে। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে সংগঠনটির এক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, পাঁচ বছর মেয়াদি একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে একসঙ্গে সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত আছেন তারা। হামাসের কাছে এখনও ৫৮ জন জিম্মি বন্দি রয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইল সরকার।
মিশরের এই প্রস্তাবের আগে ‘আংশিক’ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল ইসরাইল। ওই প্রস্তাবে ৪৫ দিনের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ১০ জন জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেয়ার কথা বলে দেশটি। তবে ওই প্রস্তাব নাকচ করে দেয় হামাস। গোষ্ঠীটির দাবি, আংশিক নয়, চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধের দিকে এগোতে হবে। গাজা থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করতে হবে ইসরাইলকে।
]]>