গাজা উপত্যকার অবরোধ ভাঙার লক্ষ্যে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় যোগ দেন বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫০০ অধিকারকর্মী। উদ্দেশ্য ছিল ২০ লাখেরও বেশি অনাহারী ফিলিস্তিনির কাছে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছে দেয়া।
গত সপ্তাহে ফ্লোটিলার ৪০টির বেশি জাহাজ সাগরে আটকে দেয় ইসরাইলি বাহিনী। সেই সঙ্গে জাহাজগুলোয় থাকা সকল মানবাধিকারকর্মীকে আটক করা হয়। এরপর আটক এসব অধিকারকর্মীকে ফেরত পাঠানো শুরু হয়।
গত শুক্রবার (৩ অক্টোবর) ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় থাকা চার ইতালীয় নাগরিককে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পরদিন শনিবার (৪ অক্টোবর) আরও ১৩৭ জন স্বেচ্ছাসেবককে তুরস্কে পাঠানোর কথা জানায় ইসরাইল।
এরপর সোমবার (৬ অক্টোবর) ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা ফ্লোটিলার জাহাজ থেকে আটক আরও ১৭১ জন অধিকারকর্মীকে ফেরত পাঠিয়েছে। এরপর সবশেষ গত মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) আরও ১৩০ জনকে ফেরত পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: গ্রেটা থুনবার্গসহ আরও ১৭১ জন মানবাধিকারকর্মীকে ফেরত পাঠালো ইসরাইল
জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি জানায়, সুমুদ ফ্লোটিলায় অংশ নেয়া বিভিন্ন দেশের ১৩০ জন নাগরিক কিং হুসেইন সেতু দিয়ে জর্ডানে দেশে প্রবেশ করেছেন। এক বিবৃতিতে বলা হয়, মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে এক জর্ডানি নারী এবং কুয়েত, বাহরাইন, তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া, ওমান, লিবিয়া, পাকিস্তান, তুরস্ক, আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং উরুগুয়ের নাগরিক রয়েছেন।
আরও জানানো হয়, মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় মুক্তিপ্রাপ্তদের জর্ডানে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করে এবং তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে। বলা হয়, জর্ডান সরকার সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর দূতাবাসগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে যাতে তারা দ্রুত ও নিরাপদে নিজ নিজ দেশে ফিরে যেতে পারেন।
ফ্লোটিলায় অংশ নেয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন কুয়েতি নাগরিকও ছিলেন। তারা হলেন ড. মোহাম্মদ জামাল, আবদুল্লাহ আল-মুতাওয়া ও খালেদ আল-আবদুলজাদার। এর মধ্যে প্রথম দুইজনকে আগেই মুক্তি দিয়ে তুরস্কে পাঠানো হয়, পরে তারা জর্ডানে আসেন। এরপর খালেদ আল-আবদুলজাদারকেও মুক্তি দেয়া হয় এবং তিনি নিরাপদে জর্ডানে পৌঁছান।
আরও পড়ুন: দাবি ইসরাইলের / শহিদুল আলমদের জাহাজসহ ফ্রিডম ফ্লোটিলার সব জাহাজ আটক!
কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল-ইয়াহিয়া এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছেন যে, সুমুদ ফ্লোটিলায় থাকা তৃতীয় কুয়েতি নাগরিকও জর্ডানে পৌঁছেছেন এবং তিনজনেরই কুয়েতে প্রত্যাবর্তনের প্রস্তুতি চলছে। তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় লজিস্টিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নাগরিকদের প্রত্যাবর্তনের উপর নিবিড় নজর রাখছে।
]]>