গাজা আলোচনায় যোগ দিচ্ছেন ট্রাম্প জামাতা কুশনার

১ দিন আগে
গাজায় যুদ্ধের অবসানে মিশরে ইসরাইল ও হামাস প্রতিনিধিদের পরোক্ষ আলোচনায় যোগ দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার। তার সঙ্গে থাকছেন মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফও। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদন মতে, আলোচনার তৃতীয়দিন আজ বুধবার (৮ অক্টোবর) কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও তুরস্কের গোয়েন্দা প্রধানের সঙ্গে আলোচনায় যোগ দিচ্ছেন স্টিভ উইটকফ ও জ্যারেড কুশনার। আলোচনায় অগ্রগতি সম্ভব কিনা তা স্পষ্ট হওয়ার জন্য আজকের দিনটাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

 

মিশরের পর্যটন শহর শারম আল–শেখে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরাইলের প্রতিনিধিদের পরোক্ষ আলোচনা চলছে যা গত সোমবার (৬ অক্টোবর) শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দ্রুত শান্তিচুক্তি করতে উভয় পক্ষকেই চাপ দেয়া হচ্ছে।

 

আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা দুই পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি সম্পাদনের চেষ্টা করছেন। গত সপ্তাহে ট্রাম্পের দেয়া ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনায় সম্মতি জানায় ইসরাইল। হামাসও কিছু প্রস্তাব মেনে নেয়। তবে বেশ কয়েকটি বড় অমীমাংসিত বিষয় রয়ে গেছে। যা নিয়ে আলোচনা চলছে।

 

আরও পড়ুন: দাবি ইসরাইলের / শহিদুল আলমদের জাহাজসহ ফ্রিডম ফ্লোটিলার সব জাহাজ আটক!

 

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের বিষয়ে আন্তর্জাতিক নিশ্চয়তা দেয়ার আহ্বান জানায় হামাস। যুদ্ধবিরতি আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশ না করার শর্তে হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আল জাজিরাকে বলেন, দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনীর প্রত্যাহারের মানচিত্র ও ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির সময়সূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

 

হামাস জোর দিয়ে বলেছে, শেষ ইসরাইলি বন্দির মুক্তির সময়ই হতে হবে দখলদার বাহিনীর চূড়ান্ত প্রত্যাহার। সংগঠনটি আরও জানিয়েছে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক গ্যারান্টি এবং গাজা থেকে সব ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার অপরিহার্য।

 

অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘ইসরাইল যুদ্ধের লক্ষ্য পূরণে কাজ চালিয়ে যাবে। সব ইসরাইলি জিম্মিকে ফেরত আনা, হামাসের শাসনব্যবস্থা ধ্বংস করা এবং গাজা আর কখনও ইসরাইলের জন্য হুমকি হবে না—সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’

 

আরও পড়ুন: ইসরাইলের হাতে আটকের আগে যে বার্তা দেন শহিদুল আলম

 

এমন পরিস্থিতিতে আজকের আলোচনাকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। বিবিসির প্রতিবেদন মতে, আজ মূল মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি আলোচনায় যোগ দেবেন। আল-থানির উপস্থিতির উদ্দেশ্য হলো—গাজা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা ও জিম্মি মুক্তি চুক্তিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। তার সঙ্গে তুরস্কের গোয়েন্দা প্রধানেরও যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।

 

আলোচনা সংশ্লিষ্ট ফিলিস্তিনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মূলত পাঁচটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। ১. স্থায়ী যুদ্ধবিরতি; ২. হামাসের হাতে থাকা ইসরাইলি জিম্মিদের বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি; ৩. গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনীর প্রত্যাহার; ৪. মানবিক সহায়তা সরবরাহের ব্যবস্থা এবং ৫. যুদ্ধের পর অঞ্চলটির শাসনব্যবস্থা। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন