মঙ্গলবার (৬ মে) গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিক্ষুব্ধরা শহরের নিউটন প্রিপারেটরি স্কুল থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে মানববন্ধনে অংশ নেন। এ সময় সড়কের উভয়পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ সুপার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধরা অবরোধ তুলে নেয়। মানববন্ধনে জেলার শিক্ষার্থী, ছাত্র সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: হিলিতে গ্রামে মাদক ব্যবসা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, অ্যাড. আনিস মোস্তফা তোতন, মানিক মিয়া, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তারেকুজ্জামান তারেক, জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি ফেরদৌস ইসলাম রুম্মান, জাতীয় নাগরিক পার্টি কেন্দ্রীয় সদস্য ফিহাদুর রহমান দিবস, নিউটন প্রিপারেটরি স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুকমল চন্দ্র সরকার, শিক্ষার্থী মুহিদ মিয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে গাইবান্ধায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। প্রায়ই খুন, ছিনতাই ও চুরির ঘটনা ঘটছে। সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
জীবনের হত্যাকারীদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানান। সেইসঙ্গে বক্তারা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
আরও পড়ুন: স্কুল-কলেজের জায়গা দখলমুক্ত করতে মানববন্ধন শিক্ষার্থীদের
উল্লেখ্য, সদর উপজেলার দক্ষিণ ধানঘড়া গ্রামের আনতাজ আলীর ছেলে হামিম রহমান ওরফে জীবন (১৭) হামিম গাইবান্ধা নিউটন প্রিপারেটরি স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র। সে পড়াশোনার ফাঁকে অটোবাইক চালাতো। হামিম গত রোববার সন্ধ্যায় অটোবাইক নিয়ে বের হয়। এরপর হামিমকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ফেসবুকের মাধ্যমে পরিবারের লোকজন জানতে পান, জীবনের মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে। হাসপাতালে গিয়ে তারা হামিমের মরদেহ সনাক্ত করে।