দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর এবং অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং গ্রুপের যৌথ উদ্যোগে শনিবার (২৪ মে) শহরের গাইবান্ধা নুরুল হক মডার্ন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতির বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান বলেন, বর্ষাকালীন নদীবাহিত বন্যার জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শীর্ষ তিনটি দেশের একটি বাংলাদেশ; যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বন্যার ঝুঁকি আরও বাড়ছে।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, জামালপুর ও বগুড়ায় সংঘটিত বন্যার অভিজ্ঞতা দেখিয়েছে যে, জীবন ও জীবিকার ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সময়োপযোগী ও কার্যকর আগাম ব্যবস্থা গ্রহণে কমিউনিটি এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বিত প্রস্তুতির অনুশীলন অপরিহার্য।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ বাগেরহাটে আঘাত হানার আশঙ্কা নেই: আবহাওয়া অধিদপ্তর
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং পূর্বাভাস-ভিত্তিক অর্থায়ন/কর্মপরিকল্পনা টাস্কফোর্সের সভাপতি কে এম আবদুল ওয়াদুদ।
এ সময় তিনি বলেন, জাতীয় পূর্বপ্রস্তুতি প্রোটোকলবাস্তবায়নের সমন্বয় ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং গ্রুপের আওতায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, কেয়ার বাংলাদেশ, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড, খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, ফ্রেন্ডশিপ, আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট ফেডারেশন, রিজিওনাল মাল্টি-হ্যাজার্ড আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম, সেভ দ্য চিলড্রেন, এসকেএস ফাউন্ডেশন এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির একসঙ্গে কাজ করছে।
এ উদ্যোগে সহায়তা করছে ইউরোপিয়ান সিভিল প্রোটেকশন অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান এইড অপারেশনস, জার্মান ফেডারেল ফরেন অফিস এবং স্টার্ট নেটওয়ার্ক। এ সিমুলেশন অনুশীলনে ২০২৪ সালের জুলাই মাসের বন্যা পরিস্থিতির পূর্বাভাসকে কেন্দ্র করে সময়োপযোগী পদক্ষেপসমূহের বাস্তব প্রদর্শনী উপস্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (ত্রাণ) মো. রবিউল ইসলাম এবং মন্ত্রণালয়ের ফোকাল পরিচালক আহমেদুল হক।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, দুর্যোগ ব্যস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএম) নিতাই চন্দ্র দে সরকার, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. শামীম হাসান ভূঁইয়া, বন্যা সতর্কীকরণ ও পূর্বাভাস কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গাইবান্ধার উপপরিচালক মো. খোরশেদ আলম, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সিদ্দিকুল ইসলাম খান, বিশ্ব খাদ্য সংস্থার হেড অব রেজিলিয়েন্স ইনোভেশন সিদ্দিকুল ইসলাম খান, এশিয়া পার্টনারশিপ অ্যাডভাইজার ও সেভ দ্য চিলড্রেনের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টও রহমত উল্লাহ এবং কেয়ার বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর (প্রোগ্রাম) এমেবেট মেনা। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সরকারি কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের প্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, স্থানীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এ মহড়া অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ভোলায় জরুরি সভা
বন্যার পূর্বপ্রস্তুতির ব্যবহারিক প্রয়োগ সম্পর্কিত এ মহড়ায় অংশ গ্রহণকারীরা বলেন, এ অনুশীলনের মাধ্যমে কমিউনিটি ও স্থানীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ বন্যার পূর্বে কী ধরনের পূর্বপ্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন তা আরও ভালোভাবে অনুধাবন করেছে, যা ভবিষ্যতে তাদের দ্রুত ও কার্যকর সাড়া দেওয়ার সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।