স্থানীয়দের অভিযোগ, জমি অধিগ্রহণের সুযোগ নিয়ে প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা গোপনে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
প্রস্তাবিত সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ কালির বাজার উপজেলা হেডকোয়ার্টারে স্থাপনের দাবিতে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন স্থানীয়রা।
দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে ঘন্টা ব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য দেন, উপজেলা বিএনপি'র সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এসএম ইব্রাহিম আলী জামায়াত নেতা মাওলানা আবুল খায়ের, ফুলছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম জাদু, ঠিকাদার আব্দুল কাদের ভূঁইয়া আকাশ, রাশেদ খান মিলন, উদাখালী ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান আলহাজ্ব কাবিল উদ্দিন, এরেন্ডাবাড়ি ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান, ছাত্র প্রতিনিধি জাহিদ হাসান জীবন, খোরশেদ আলম, আলিফ বিন সম্রাট, পারভেজ হাসান রুবেল, আলমগীর হোসেন, শোয়েব আলী, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রায়হান মাহমুদ রাহুল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সরকার সারা দেশে ৩২৯টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। ফুলছড়িতেও এই প্রকল্পের আওতায় একটি কলেজ স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে।
তাদের অভিযোগ, স্থান নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্থানীয়দের মতামত উপেক্ষা করে উপজেলা প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী কাতলামারী এলাকাকে বেছে নিয়েছেন। এটি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনো সহজ নয়। স্থানীয়রা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এমন দুর্গম এলাকায় কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হলে সরকারের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় নদীতে ছুটে চলছে প্রাইভেট কার
বক্তারা আরও বলেন, কলেজটি উপজেলা সদর বা কোনো জনবহুল এলাকায় স্থাপিত হলে সব ইউনিয়নের শিক্ষার্থীরা সহজে যাতায়াত করতে পারবে। এতে শিক্ষার্থী বাড়বে এবং পর্যাপ্ত আবাসনের কারণে দূর-দূরান্তের শিক্ষার্থীরাও উপকৃত হবে। অন্যদিকে, প্রস্তাবিত কাতলামারী গ্রামে কলেজটি স্থাপন করা হলে দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে শিক্ষার্থী সংকট দেখা দিতে পারে। একই কারণে শিক্ষক-কর্মচারীরাও সেখানে থাকতে অনাগ্রহী হতে পারেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা নেতা জাহিদ হাসান জীবন বলেন, ‘সরকারের এই ভালো উদ্যোগ তখনই সফল হবে যখন এটি ফুলছড়ি সদর এলাকায় স্থাপিত হবে। চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সন্তানদের শিক্ষাগ্রহণ সহজ হবে।’
অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘শুধু জমি পাওয়ার অজুহাতে কলেজটি নদীভাঙন কবলিত এলাকায় করা হলে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেও এর উদ্দেশ্য সফল হবে না। এটি দূরদর্শিতার অভাব।’
আরও পড়ুন: মওলানা ভাসানী সেতুর ক্যাবল চুরি মামলায় দুজন কারাগারে
এ বিষয়ে ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জগৎবন্ধু মণ্ডল বলেন, কলেজটি কাতলামারী এলাকায় স্থাপনের জন্য কয়েক দফা সমীক্ষা চালানো হয়েছে এবং এখন এটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এই মুহূর্তে নতুন করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে কলেজ স্থাপন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হবে।