জমিজমা ও পূর্ববিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ আনিছুর রহমান ও এনামুল মিয়াসহ তাদের লোকজন পরিকল্পিতভাবে রুহুল আমিনকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ নিহতের স্বজনদের।
এ ঘটনার পর নিহত রুহুল আমিনের স্বজনসহ বিক্ষুদ্ধ জনতা অভিযুক্তদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুরসহ আগুন ধরিয়ে দেয়।
রোববার (৬ এপ্রিল) বিকেলে ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের চন্দিয়া (নয়াপাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ঈদের জামাত নিয়ে দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাতে খুন: প্রধান আসামি গ্রেফতার
নিহত রুহুল আমিন ওই গ্রামের মৃত্যু আব্দুর রহিমের ছেলে। তিনি একটি ওষুধ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন বলে জানা গেছে।
নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে নয়াপাড়া গ্রামের আনিছুর রহমান ও এনামুল মিয়ার সঙ্গে জমিজমা নিয়ে রুহুল আমিনের বিরোধ চলে আসছিল। এরেই জেরে রোববার বিকেলে বাড়ির সামনে রুহুল আমিনের সঙ্গে আনিছুর রহমানের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এরপর সেখানে এসে মজনু মিয়া, মাহতব ও এনামুলসহ কয়েকজন রুহুল আমিনকে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে এনামুল তার হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে রুহুল আমিনের মাথা ও শরীরে আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয় রুহুল আমিনের।
এদিকে, এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে রুহুল আমিনের স্বজন ও এলাকাবাসী। পরে তারা অভিযুক্ত আনিছুর রহমান ও এনামুলের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র বের করে ভাঙচুরসহ তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় আনিছুর ও এনামুলসহ পরিবারের লোকজন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে নারী পোশাককর্মী খুন
ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন রুহুল আমিনকে মারধর ও কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে। হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে চেষ্টা চলছে।