শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের কাটাবাড়ী গ্রামের বাগদা বাজার টাওয়ার এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছেন।
নিহত শিউলী বেগম ওই গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে ফরিদ উদ্দীনের দ্বিতীয় স্ত্রী। তিনি একই ইউনিয়নের বোগদহ সদর কলোনী এলাকার শরীফ মিয়ার মেয়ে। তাদের একটি ৮ বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে যুবককে গলা কেটে হত্যা
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে শিউলীকে নির্যাতন করতেন ফরিদ। শনিবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বাধে। একপর্যায়ে ফরিদ শিউলীকে মারধর করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পরে মরদেহ বাড়ির পাশে কলাবাগানে ফেলে রেখে পালিয়ে যান তিনি। প্রতিবেশীরা বিষয়টি দেখে পুলিশে খবর দেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে গলা কেটে কসাইকে হত্যা
নিহত শিউলীর বাবা শরীফ মিয়ার অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই মেয়েকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন ফরিদ। পরিকল্পিতভাবেই শিউলীকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে পালিয়েছেন ফরিদ।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রোববার সকালে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।