দেখে নিন কোরবানির মাংস রান্নার উপায়গুলো-
১. গরুর মাংস প্রটিনের খুব ভালো উৎস। আয়রনের খুব ভালো উৎস। গরুর মাংসের কিছু অংশ আছে যেখানে আমিষ এর চেয়ে কোলেস্টেরল এর পরিমান অনেক বেশি। এগুলো হলো: মগজ, কলিজা, ভুড়ি। তাই এগুলো বাদ দিতে হবে।
২. রান্নার আগে দৃশ্যমান ফ্যাট যেগুলো চোখে দেখা যায় সেগুলো কেটে ফেলতে পারি।
৩. সেদ্ধ করে পানি ফেলে দিতে পারি। এতে কিছুটা ভিটামিন, মিনারেলস কমলেও, তেল-চর্বি কিন্তু কমে যাবে।
আরও পড়ুন: কোরবানির মাংস খেতে কী করবেন হার্টের রোগীরা
৪. মাংস রান্নার ৩০ মিনিট আগে মেরিনেট করে রাখতে হবে। মাংস আমরা টকদই, সিরকা/ভিনেগার, লেবুর রস, আদা, রসুন, পেঁয়াজ, জিরা এগুলো দিয়ে মাখিয়ে রাখতে পারি, এগুলো খুবই উপাদেয় মসলা যা হজমে সহায়তা করে।
৫. এভাবে মেরিনেট করে রাখলে মাংস খুব ভালো ও তাড়াতাড়ি সেদ্ধ/ কুক হবে, ঢাকনা দিয়ে অল্প আঁচে ধীরে রান্না করলে মাংসের নিজস্ব তেল আছে সেটাই বের হবে। অতিরিক্ত তেল দেয়ার দরকার নেই। কিন্তু আমারা আগেই অতিরিক্ত তেল, ঘি, বাটার দিয়ে ফেলি তখনই গরুর মাংস আনহেলদি হয়ে পড়ে।
৬. গরুর মাংস রান্নায় সবজি ব্যবহৃত হলে এটি আরও হেলদি হয়ে ওঠে। যেমন : ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, পেপে, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি দিতে পারি।
আরও পড়ুন: কোরবানির মাংস দীর্ঘদিন সংরক্ষণের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি
লেখক: ফারজানা রহমান কান্তা, কনসালটেন্ট ডায়াটিশিয়ান, লাইফস্টাইল মডিফায়ার। ডায়েট ও অবেসিটি ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট, আনোয়ার খান মডান ডায়াগনস্টিক সেন্টার।