‘গণহত্যার’ প্রমাণ লুকাতে লাশ পোড়াচ্ছে আরএসএফ!

২ সপ্তাহ আগে
গণহত্যার প্রমাণ লুকাতে মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা বা গণকবরে পুঁতে ফেলার অভিযোগ উঠেছে সুদানের আধা-সামরিক র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) বিরুদ্ধে। দেশটির মেডিকেল সংস্থা ‘সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক’ এই অভিযোগ তুলেছে। খবর আল জাজিরার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার (৯ নভেম্বর) সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সুদানের পশ্চিম দারফুর অঞ্চলের এল-ফাশের শহরের রাস্তা থেকে আরএসএফ ‘শত শত মরদেহ’ সংগ্রহ করছে। গত ২৬ অক্টোবর শহরটি দখল করার পর এই গোষ্ঠী অপরাধ গোপন করার জন্য লাশ পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করছে।

 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এল-ফাশেরে যা ঘটেছে তা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং এটি আরএসএফ কর্তৃক পরিচালিত একটি পূর্ণাঙ্গ গণহত্যার আরেকটি অধ্যায়।

 

আরও পড়ুন: সুদানে ২ বছরের সংঘাতের পর যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত আরএসএফ

 

তারা বলছে, আধা-সামরিক বাহিনীর এই কর্মকাণ্ড মৃতদেহ বিকৃত করা নিষিদ্ধ করে এবং মৃতদের সম্মানজনক দাফনের অধিকার নিশ্চিত করে এমন সব আন্তর্জাতিক ও ধর্মীয় নিয়মের স্পষ্টতই লঙ্ঘন।

 

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) তথ্যমতে, আরএসএফ সুদানের শেষ সামরিক ঘাঁটিটি দখলের পর ব্যাপক আকারে গণহত্যা, ধর্ষণ এবং নির্যাতনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। আল-ফাশেরের মোট ২ লাখ ৬০ জনসংখ্যার ৮২ হাজার পালিয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে অনেক বাসিন্দা এখনও আটকা পড়ে আছেন।

 

আরও পড়ুন: সুদানের করদোফান অঞ্চলে জানাজায় হামলা, নিহত ৪০

 

সুদানের রাজধানী খার্তুম থেকে আল জাজিরার হিবা মরগান বলেছেন, আল-ফাশেরের থেকে উত্তরের আল দাব্বাহ শহরে পালিয়ে আসার সময় অনেক লোক খাবার, পানির অভাবে অথবা গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় মারা গেছেন।

 

তিনি আরও বলেন, পালিয়ে আসা ব্যক্তিরা আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, তারা আরএসএফ যোদ্ধাদের পোস্ট করা সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিওতে আত্মীয়দের মৃত্যুর খবর  জানতে পেরেছেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন