শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পর দেয়া এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ সমালোচনা করেন।
পোস্টে ফয়েজ আহম্মদ লিখেছেন, আজকের জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের এক দৃশ্য যেন আমাদের হৃদয় ছুঁয়ে গেল। দুই ছাত্র উপদেষ্টা — মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ — যে আন্তরিকতায় শহীদ মীর মুগ্ধের বাবা এবং শহীদ তাহির জামান প্রিয়র মাকে মঞ্চে বসিয়ে দিলেন, তা ছিল সত্যিই অনন্য সুন্দর এক মুহূর্ত।
সেই দৃশ্য যেন জানিয়ে দিল— জুলাইয়ের শহীদ পরিবারের সদস্যরাই কেবল শহীদ নয়, তারা আমাদের বেঁচে থাকা সবার পরিবারও।
আরও পড়ুন: এরপর দেশের জন্য হাত লাগলে তরুণদের ১০০ বার ভাবতে হবে, অনলাইনে সমালোচনা
এই ভালোবাসার দৃশ্য যখন আমাদের চোখে প্রশান্তি এনে দিল, তখনই চোখে পড়ল কয়েকটি গণমাধ্যমের শিরোনাম: “জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যাননি দুই ছাত্র উপদেষ্টা।”
আচ্ছা, আমাদের গণমাধ্যম কী অভ্যুত্থানের পরেও দায়িত্বশীল হওয়ার প্রয়োজন অনুভব করে না?
আরও পড়ুন: জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেয় ২৫ দল, উপস্থিত ছিলেন যেসব নেতা
আমি নিজেও তো একসময় ছিলাম সাংবাদিক। গণমাধ্যমের ভেতরের দুর্বলতা, সীমাবদ্ধতা, পক্ষপাত— এসব নিয়েই লিখতাম, বলতাম, তর্ক করতাম। সেই ছিল আমার আত্মসমালোচনা, নিজের পেশার ভেতর থেকে দেখার চেষ্টা। এখন অনেক সময় চুপ থাকি— কারণ কেউ মনে করতে পারে, সরকারে এসে বলছি।
প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদের ফেসবুক পোস্ট। ছবি সংগৃহীত
কিন্তু ভাই, আমি তো জানি— বেঁচে থাকলে আবারও সাংবাদিকতায় ফিরব। সেজন্যই আজও গণমাধ্যমের পেশাদারিত্বের ঘাটতি আমাকে ভীষণভাবে ব্যথিত করে।
কারণ আমি জানি, একদিন এই দেশকে, এই অভ্যুত্থানকে, আর আমাদের স্বপ্নকে সঠিকভাবে লিখে রাখার দায়িত্বও শেষ পর্যন্ত সেই গণমাধ্যমেরই।
]]>
১ সপ্তাহে আগে
৪








Bengali (BD) ·
English (US) ·