দেশের রূপান্তরের এই সময়ে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ঠিক কেমন, তা বিশ্লেষণ করতেই বুধবার (৮ অক্টোবর) বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের গোটেবিল আয়োজনের করা হয়।
মানবাধিকার সংগঠন সপ্রাণের ডাকে অংশ নেন মানবাধিকার কর্মী ও বিশিষ্ট নাগরিক ও রাজনৈতিক কর্মীরাও। গোলটেবিলে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। এতে জুলাই অভ্যুত্থানের পর মব-সন্ত্রাস, সাংবাদিকদের ওপর হামলা, সীমান্ত সংঘাত এবং ধর্মীয় সংঘাত বেড়েছে। তবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুম, খুন এবং নিরাপত্তা হেফাজতে মৃত্যু কমেছে।
এরপরই বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে তুষ্টি প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘যেহেতু পত্রিকাগুলোতে অনেক কিছু…খুব বড় রকমের একটা ফ্রিডম উনারা পেয়েছেন। ফলে অনেক ধরনের কথা বলেন।’
প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল। মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে চিত্র গণমাধ্যমে দেখা যায়, বাস্তবতা তার চেয়ে অনেক ভালো।’
আরও পড়ুন: ইউএনজিএ সফরে গণতন্ত্র ও মানবিক সংহতির অঙ্গীকার তুলে ধরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
যেসব ঘটনায় উদ্বেগ রয়েছে, তা বিদেশি সংস্থা দিয়ে পুনঃনিরীক্ষণ করার আহ্বান জানান শফিকুল আলম। সেইসঙ্গে দায় দেন ফেসবুকের ওপরও।
এদিকে বক্তব্য দেয়ার প্রেস সচিব অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মানবাধিকার কর্মীরা। গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সদস্য, মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন মনে করেন, অরাজনৈতিক সরকার যে দেশ পরিচালনা করতে পারে না প্রেস সচিবের বক্তব্যই তা প্রমাণ করে।
এ সময় সামনের দিনে যারা ক্ষমতায় আসবে, সেসব রাজনৈতিক দলগুলোকেও আত্মোপলব্ধি করার পরামর্শ দেন মানবাধিকার কর্মীরা।
]]>