গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদ প্রতিষ্ঠা চায় জামায়াত

৩ সপ্তাহ আগে
জামায়াতে ইসলামী গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদ প্রতিষ্ঠা চায় বলে জানিয়েছেন দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

রোববার (১৮ মে) জাতীয় সংসদের এল ডি হলে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনার পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ কথা জানান।


তাহের আরও জানান, বৈঠকে ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ১২০টির বেশি প্রস্তাবে একমত পোষণ করেছে দলটি। তবে চারটি প্রদেশে ভাগ করার প্রস্তাবে রাজি হয়নি তারা। 


তিনি বলেন, তত্বত্তাবধায়ক সরকারের ক্ষেত্রে দুটি প্রস্তাব দিয়েছি। তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই সব নির্বাচন হতে হবে। সংবিধান সংস্কারেও গণভোট চায় জামায়াত। 


এই জামায়াত নেতা বলেন, প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে সিনিয়রিটি মেইনটেইন করতে হবে। এমন ব্যক্তি হতে হবে যার বিরুদ্ধে জুডিশিয়াল কাউন্সিলে কোনো অভিযোগ না থাকে।


সংস্কার ইস্যুতে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে পাঁচটি সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।


রোববার দ্বিতীয় দফায় আলোচনায় বসে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে। আলোচনা শুরু হয় সকাল সাড়ে দশটায়। এদিন জামায়াতের পক্ষ থেকে নায়েবে আমীর সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল আলোচনায় অংশ নেন।


আরও পড়ুন: ইসিকে জবাবদিহির আওতায় আনতে আইনের সংশোধনের দাবি জামায়াতের


আলোচনা শেষে গণমাধ্যমকে জামায়াতের নায়েবে আমীর বলেন, সংস্কার বিষয়ে গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদ চায় জামায়াত। জামায়াত দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো সংস্কার চাইবে না বলেও জানান তিনি। এদিকে দীর্ঘ আলোচনায় বাংলাদেশকে চারটি প্রদেশে ভাগ করার প্রস্তাবে রাজি হয়নি দলটি।


এর আগে আলোচনার শুরুতে সূচনা বক্তব্য দেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার কাজ কেবল কমিশনের একার নয়, রাজনৈতিক দল, সিভিল সোসাইটি ও অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তিকেও এগিয়ে আসতে হবে।


রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে লিখিত মতামত নেয়ার পর ২০ মার্চ থেকে দলগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করছে ঐকমত্য কমিশন। জামায়াতের সঙ্গে প্রথম দফায় আলোচনা হয় ২৬ এপ্রিল।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন