গণধর্ষণের হুমকি দেয়া শিক্ষার্থীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি শিক্ষক নেটওয়ার্কের

৪ সপ্তাহ আগে
ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের জিএস পদপ্রার্থী এস এম ফরহাদের ডাকসু প্রার্থীতার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা নারী শিক্ষার্থীকে গতকাল (১ সেপ্টেম্বর) গণধর্ষণের হুমকি দেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই আরেক শিক্ষার্থী। আলী হুসেন নামে ২০২১-২১ সেশনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে আজ সংবাদ সম্মেলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেটওয়ার্ক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক নারী শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের হুমকি দেয়া শিক্ষার্থী আলী হুসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেটওয়ার্ক।


মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মধুর ক্যানটিনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানায় তারা।


সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন শিক্ষক তাহমিনা আক্তার ও মোশাহিদা সুলতানা। তারা বলেন, ‘ডাকসুর প্রার্থিতা নিয়ে হাইকোর্টে করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এক নারী শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আলী হুসেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গণধর্ষণের হুমকি দিয়েছে। এমন জঘন্য ঘটনার যথাযথ প্রক্রিয়ায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন হুমকি দিতে সাহস না পায়।


উল্লেখ্য, ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের জিএস পদপ্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে ওই নারী শিক্ষার্থী হাইকোর্টে রিট করেন। আদালতের স্থগিতাদেশের পরপরই ক্যাম্পাসে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করা শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের আহ্বান জানায় আলী হুসেন।


ঘটনার প্রতিবাদে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন মিছিল ও বিক্ষোভ করে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আলী হুসেনকে ‘শিবির নেতা’ আখ্যা দিয়ে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে। যদিও ছাত্রশিবির এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর অভিযোগ জমা পড়েছে এবং তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
 

আরও পড়ুন: ফরহাদের প্রার্থিতা নিয়ে রিট করা ফাহমিদাকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি


শিক্ষক নেটওয়ার্কের সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিয়মিতভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পেলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তারা ১৩ দফা দাবি উত্থাপন করেন, যার মধ্যে রয়েছে—


* ভোটারের অনুপাতে বুথ সংখ্যা বৃদ্ধি,

* ভোটদানের সময়সীমা বাড়ানো,

* ভোট গণনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা,

* সাইবার বুলিং বন্ধে উদ্যোগ,

* অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবহন ব্যবস্থা,

* যৌন হয়রানির ঘটনা সরাসরি নিপীড়নবিরোধী সেলে নিষ্পত্তি।


সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নেটওয়ার্ক আরও জানায়, তারা ২০১৯ সালের মতো আসন্ন ডাকসু নির্বাচনও স্বতন্ত্র ও স্বাধীনভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন