বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছরের আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে। কিন্তু সাড়ে ৯ মাসে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে, সেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পক্ষের শক্তিগুলোর মধ্যে ফাটল ধরছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন,
সাম্প্রতিক কিছু কর্মকাণ্ডে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কোনো কোনো রাজনৈতিক পক্ষের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন তারা।
আরও পড়ুন: ইশরাকের শপথ / রায়ে জনগণের বিজয় হয়েছে, নেতাকর্মীরা রাস্তা থেকে সরে যাবেন: ফখরুল
‘অন্তর্বর্তী সরকারের যারা একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত। সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে তাদের অব্যাহতি দেয়া প্রয়োজন। ফ্যাসিবাদের দোসররাও উপদেষ্টা হিসেবে আছে। তাদেরকেও সরিয়ে ছোট উপদেষ্টা পরিষদ করা উচিত’, যোগ করেন তিনি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, মানবিক করিডর এবং চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের আছে বলে এ দেশের মানুষ মনে করে না। কোনো অস্থিতিশীল পরিবেশ যাতে তৈরি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
তিনি বলেন,
সরকার যথাসময়ে কাজ না করে চাপের মুখে দাবি মানার এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘেরাও সন্দেহজনক। এছাড়া ঢাকা দক্ষিণের মেয়র নিয়ে ইসি আইন মেনে গেজেট দিলেও প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চলছে। দ্রুত সকয়ের মধ্যে ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব সরকার বুঝিয়ে দেবে বলে প্রত্যশা করি।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিয়ে পরীক্ষা নয়, অতিদ্রুত ড. খলিলুরের পদত্যাগ দাবি রিজভীর
তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচিত সরকার গঠন করার জন্য নির্দিষ্ট রোডম্যাপ না দিলে এই সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখা বিএনপির জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।