খড়া কাটিয়ে লাভের আশায় ভোলায় চামড়া সংগ্রহে ব্যস্ত ব্যবসায়ীরা

৩ সপ্তাহ আগে
ভোলায় কোরবানির পশু জবাইয়ের পর প্রথম দিন থেকেই মৌসুমি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা চামড়া সংগ্রহে আড়তগুলোতে ভিড় করতে শুরু করেছেন। বিগত কয়েক বছরের ক্ষতি পুষিয়ে এবার কিছুটা লাভের আশা করছেন তারা। গ্রামাঞ্চল থেকে সংগৃহীত চামড়া প্রাথমিক প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আড়ত মালিকরা।

শনিবার (৭ জুন) দুপুরের পর থেকেই ভোলার মহাজনপট্টির আড়তগুলোতে চামড়া কেনাবেচা শুরু হয়। রাত পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে সংগ্রহ করা চামড়া আজকের মধ্যে শহরে পৌঁছালেও আগামীকাল আরও কিছু খুচরা বিক্রেতা আসবেন বলে জানা গেছে।

 

চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, এবার গরুর চামড়া সংরক্ষণে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা এবং ছাগলের চামড়ায় ৮০ থেকে ১০০ টাকা খরচ হচ্ছে। তবুও প্রকারভেদে গরুর চামড়া ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা বিগত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি।

 

আরও পড়ুন: মাঝ মেঘনায় ৬২ যাত্রী নিয়ে ভাসছিল বিকল ট্রলার

 

খুচরা ব্যবসায়ী মফিজুর রহমান জানান, অধিকাংশ মানুষ চামড়া এতিমখানা ও মাদরাসায় দান করেছে। এসব প্রতিষ্ঠান চামড়া সংগ্রহ করে নিজেরাই আড়তে নিয়ে যাচ্ছে।

 

আড়ত মালিকরা অভিযোগ করে বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মোকামে চামড়া পাঠালেও সেখানে সিন্ডিকেটের কারণে প্রতারণার শিকার হন তারা। এজন্য মফস্বল পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

 

প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এবারের কোরবানিতে জেলায় প্রায় ৮৪ হাজার পশু জবাই হয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন