কোহলির অবসরের পরদিনই প্রকাশিত হয় ২০২৫ সালের দশম শ্রেণির সিবিএসই (সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এক্সামিনেশন) পরীক্ষার ফল। অংশগ্রহণকারী বিবেচনায় ভারতের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা এটি। যেটিকে শিক্ষাজীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপও বিবেচনা করা হয়।
দশম শ্রেণীর ফলাফল এবং কোহলির অবসর- আলোচনায় থাকা এই দুটি বিষয়কে এবার একসঙ্গে টেনে এনেছেন ভারতের এক আইএএস কর্মকর্তা জিতিন যাদব। কোহলির এই পরীক্ষার ফলাফল টেনে এনে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দেয়ার চেষ্টা করেছেন এই কর্মকর্তা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোহলির দশম শ্রেণির মার্কশিট তুলে ধরে এই কর্মকর্তা লিখেছেন, ‘নম্বরই যদি সবকিছু হতো, তাহলে গোটা দেশ তাকে অনুসরণ করত না। (সাফল্য পাওয়ার জন্য) উদ্দীপনা আর নিষ্ঠাই আসল।’
মূলত খেলার মাঠের চ্যাম্পিয়ন কোহলি পড়াশুনায় ছিলেন গড়পড়তা। খুব অল্প বয়স থেকেই পেশাদার ক্রিকেট খেলায় পড়াশুনায় তেমন নৈপুণ্য দেখানোর সুযোগ মেলেনি। তাই তার নম্বরপত্র দেখিয়ে ব্যর্থ শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দেয়ার চেষ্টা করেছেন আইএএস কর্মকর্তা।
কোহলির নম্বরপত্র থেকে জানা গেছে, দশম শ্রেণীতে এই তারকা সবচেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছেন ইংরেজিতে। এই বিষয়ে তখন ৮৩ নম্বর পেয়েছিলেন তিনি। আর কোহলির সবচেয়ে কম নম্বর এসেছিল গণিতে- ৫১।
আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডের মাটিতে ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন সাব্বির
তবে খেলার পাশাপাশি পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়া কোহলি অনেক বিষয়েই দারুণ ফলাফল করেছেন। সমাজবিজ্ঞানে ৮১, হিন্দিতে ৭৫ এবং ইন্ট্রোডাক্টরি আইটিতে ৭৪ নম্বর পেয়েছেন তিনি। এছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে পেয়েছেন ৫৫ নম্বর।
কোহলির নম্বরপত্র এর আগেও একবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল ২০২৩ সালে। কোহলি অবসর নেয়ার পর অনেকে আবার এটিকে প্রাসঙ্গিক মনে করে ছড়িয়ে দিয়েছে। নম্বরপত্রে দেখা গেছে, ২০০৪ সালে দিল্লির পশ্চিম বিহারে অবস্থিত স্যাভিয়র কনভেন্ট সেকেন্ডারি স্কুল থেকে দশম শ্রেণির সিবিএসই পরীক্ষা দিয়েছিলেন কোহলি।