অনলাইন জুয়ার আসক্তি বাড়ছে ভয়াবহ হারে। অনেকে কৌতূহলবশতই ঢুকছেন জুয়ার ওয়েবসাইটে; হয়ে পড়ছেন এতে আসক্ত। কেউবা লোভে, আবার কেউ প্ররোচনায়। খেলার মাঠ, রাস্তার মোড়, গাছের ছায়া কিংবা নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান -- যে কোনো স্থানে বসেই চলে এ জুয়া। ফুটবল ম্যাচ, ক্রিকেট ম্যাচ, অন্য খেলা, এমনকি আইপিএল, বিপিএল, এনসিএল নিয়েও চলছে অনলাইন জুয়া। মাঠের খেলাকে পুঁজি করে গড়ে ওঠা অনলাইন জুয়া চলছে অবাধে, পাচার হচ্ছে দেশের কোটি কোটি টাকা। তবে এটি প্রতিরোধে জোরালো কোনো পদেক্ষপ চোখে পড়ছে না রাষ্ট্রীয়ভাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুর রায়হানের (ছদ্মনাম) সঙ্গে কথা হয় সময় সংবাদের। অনলাইন জুয়ায় আসক্ত তার পরিবারের এক সদস্য। এ শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমার ভাই প্রায় ৪০-৫০ লাখ টাকা জুয়ার মাধ্যমে শেষ করেছে। আমার পরিবারের ব্যবসা ছিল, টাকা রিজার্ভ ছিল। সেই টাকা দিয়ে জুয়া খেলেছে।’
পরিবার কেন টাকা দিলো? তিনি যে জুয়া খেলেন, আপনারা কী জানতেন না -- এমন প্রশ্নের জবাবে মাহমুদুর রায়হান বলেন, ‘প্রথমে জানতাম না জুয়া খেলে। আদরের ছেলে, ছোট ছেলে। প্রথমে বলতো হারিয়ে গেছে। কিডন্যাপের নাটক সাজাতো। বলতো, আজকে ব্যাংকে ৫ লাখ টাকা জমা দিয়ে আসতে হবে। এভাবে নানা অজুহাতে টাকা নিতো। পরবর্তীতে বাসায় থাকাকালীন ভাঙচুর করতো টাকা না দিলে।’
আরও পড়ুন: উইন্ডিজকে ভালো টিম মানা সৌম্য নিজেদের সেরাটা দিতে চান
ঢাবির এ শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘জেলখানা হওয়া উচিত সংশোধনাগার। দেশের জেলখানা সংশোধনাগার না। চোর হিসেবে ঢুকলে ডাকাত হয়ে বের হয়, আর ডাকাত হিসেবে ঢুকলে সন্ত্রাসী হয়ে বের হয়। এটা তো হওয়া উচিত না। আমার ভাইকে যদি জেলে দেয়া হয়, তাহলে আমাদের আপত্তি ছিল না। আমার ভাইকে আমিই ধরিয়ে দিতাম। জেলে গিয়ে কোনো লাভ হবে না, উল্টো খারাপ হবে। কিশোরদের যেমন সংশোধানাগার আছে, তেমন সবার জন্য সংশোধানাগার বানাতে হবে।’
অনলাইন জুয়ায় আসক্ত তরুণদের বেশ কজনের পরিবারকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হলে বেশিরভাগই আত্মসম্মানবোধের কথা চিন্তা করে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। অবশ্য কয়েকটি ভুক্তভোগী পরিবার ও জুয়ায় আসক্ত তরুণ কথা বলতে রাজি হয়। তাদের কাছেই জানা যায় অনলাইন জুয়ায় আসক্তির আরও ভয়াবহতা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমার ছোটভাই মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী। মধ্যবিত্ত পরিবার আমাদের। ছোট ভাইয়ের সব খরচ আমিই মেটাই। যেহেতু তার মেডিকেলে পড়ার অতিরিক্ত চাপ, তাই তাকে একটা টিউশন পর্যন্ত করতে দেয়া হয়নি। একটা সময় জানতে পারি, সে অনলাইন জুয়ায় আসক্ত। নিয়মিত মিথ্যা বলে টাকা নেয়। কয়েকমাসে দুটি ল্যাপটপ কেনার টাকা দেয়া হয়েছে। বাসায় এসে টাকা নিয়ে যায়। কিছুদিন পরপর বাইক চায়। নিজে বেশিদূর পড়াশোনা করিনি, ছোটভাইকে ডাক্তার বানাতে চাই। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে তাকেই ভালো ডাক্তার দেখানো দরকার যেন এ আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে পারে।’
অনলাইন জুয়া থেকে বেরিয়ে আসা কলেজ পড়ুয়া এক তরুণ জানান, ‘এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ টাকা খুইয়েছি অনলাইন জুয়ার বিভিন্ন অ্যাপের ফাঁদে পড়ে।’ এই জুয়াকে তিনি ফাঁদ বলেই উল্লেখ করেছেন। এসব অ্যাপের বেশিরভাগই ভারতীয় এবং লোভ দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া ফাঁদ বলে জানান তিনি।
এসব জুয়া কেমন হয়, কীভাবে টাকা খুইয়েছেন -- এমন প্রশ্নে ওই তরুণ বলেন, ‘নামীদামি কিছু অ্যাপ আছে, যেগুলোর বিজ্ঞাপন অনেকটা প্রকাশ্যেই দেখা যায়। দেশের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সেখানে টাকা প্রবেশ করানো যায়। বিশ্বের বিভিন্ন ফুটবল লিগ, ক্রিকেট টুর্নামেন্ট কিংবা ক্রিকেট-ফুটবল ম্যাচ, এমনকি দেশের বিপিএল-এনসিএলকে কেন্দ্র করেও টাকা ধরা যায় অ্যাপে। আমি প্রথম দিকে লাভ করলেও পরে হারতে থাকি। আমার কাছে মনে হয় জুয়ার অ্যাপ একটি ফাঁদ।’
আরও পড়ুন: র্যাঙ্কিংয়ে ৭ ধাপ এগোল বাংলাদেশ
জুয়ার ফাঁদে ঝরছে প্রাণ
চলতি বছরের ৪ মে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে রাজিউর রহমান রাজু (৩৫) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতের স্ত্রী ও পরিবারের দাবি, জুয়ায় টাকা হেরে গিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। রাজুর বাবা পারলত আলী বলেন, ‘ছেলে অনলাইনে জুয়া খেলে সব পুঁজি শেষ করেছে। কিছু ধার-দেনা করেছিল। জমি বিক্রি করে শোধ করে দিয়েছি। সবশেষ ছয় মাসে অনলাইন জুয়ায় হারেন ২০ লাখ টাকা।’
চলতি বছরের ১২ মার্চ বরিশালের মুলাদীতে আবু বকর ছিদ্দিক ওরফে বাবু (২৬) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে করে পুলিশ। যুবকের বাবার মতে, ছেলে অনলাইনে জুয়া খেলায় আসক্ত ছিল। টাকা ধার করে সে জুয়া খেলতো। বছর দুয়েক আগে গরু ও জমি বিক্রি করে ছেলের ধার করা ৩০ লাখ টাকা পরিশোধ করেছিলেন। স্বজনদের দাবি, এ যুবক ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছেন।
চলতি বছরের ৮ মার্চ রাজধানীর হাজারীবাগে একটি বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে মনির হোসেন (২০) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছিল ‘জুয়ায় আসক্ত হয়ে অনেক টাকা খোয়ানোর পর হতাশা থেকে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’
এছাড়া, ১৫ সেপ্টেম্বর, খুলনার কয়রায় অনলাইনে জুয়া খেলে বারবার ব্যর্থ হয়ে হানিফ গাজী (২৫) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। ২৭ এপ্রিল, চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে পিপুল দে জুয়ায় আসক্তির কারণে আত্মহত্যা করেন। এমন অগণিত প্রাণ যাচ্ছে অনলাইন জুয়ায়।
আরও পড়ুন: ফাইনালে প্রতিপক্ষ পেল রিয়াল মাদ্রিদ
অনলাইন জুয়ার প্রতিকার নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত
অনলাইন জুয়া অপরাধ, নাকি সামাজিক ব্যাধি? সময় সংবাদের এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক (শিক্ষা ছুটি) খন্দকার ফারজানা রহমান বলেন, ‘দেশের পাবলিক গ্যামব্লিং অ্যাক্ট ‘জুয়া বা ক্যাসিনোকে’ অপরাধ বলে গণ্য করেছে। অনলাইন অ্যাপের জুয়াকে অপরাধ বলে গণ্য করা হয়নি, তাই আইন অনুযায়ী একে আমরা অপরাধ বলতে পারছি না।’
তিনি যোগ করেন, ‘আপনি যদি চিন্তা করেন এটি এক ধরনের বিচ্যুতি, যদি বলি যে কাজটিকে সমাজ গ্রহণ করছে না । বিশেষত একটি গোষ্ঠীকে নির্ধারণ করে তরুণ প্রজন্মকে ঘিরে হয়তো কিছু পক্ষ বা কিছু ব্যক্তি কমিশন নেয়া বা অর্থ হাতিয়ে নেয়ার যে বিষয়টি করছে, সেটা যদি চিন্তা করেন, এ তরুণরা কিন্তু শিকারও হচ্ছে। অনেক সময় তারা না বুঝে হয়তো এ অ্যাপগুলো ব্যবহার করছে। একবার যখন সে আসক্ত হচ্ছে একটা গণ্ডির মধ্যে তারা আটকে যাচ্ছে। সেটা যদি চিন্তা করি এটি একটি সামাজিক ব্যাধি হিসেবে আপনি বলতে পারেন।’
এ অপরাধ বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, ‘আমাদের সমাজে এখন সামাজিক-সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক পরিবর্তন হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, বিশেষ করে আপনারা যারা তরুণ, তারা কিন্তু বিভিন্ন ধরনের মানসিক ও পারিপার্শ্বিক সমস্যাতে ভুগছেন। হয়তো পরিবারও ঠিকমতো সময় দিতে পারছে না। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও যদি চিন্তা করেন সৃজনশীল কাজের যে সুযোগ, সেটাও কিন্তু অনেকটা সীমিত।
স্বাভাবিকভাবে পড়াশোনার বাইরে একটা তরুণ চেষ্টা করবে বিনোদন কীভাবে পাওয়া যায়! যেহেতু আমাদের বিনোদন বা সৃজনশীল বিষয়গুলোর সুযোগ কম, সেহেতু এই ধরনের অনলাইনে যারা জুয়ার অ্যাপগুলো তৈরি করছে, তাদের কিন্তু এক ধরনের লাভ হচ্ছে। যেসব তরুণ এ অনলাইন জুয়াতে আসছে, তারা কিন্তু ভিক্টিমাইজড হচ্ছে। এ বিষয়গুলো যদি চিন্তা করেন অবশ্যই এটি একটি সামাজিক ব্যধি। এখানে যেহেতু টাকা দিতে হয়, বিশেষ করে তরুণরা যারা আসলে সুবিধাবঞ্চিত নয়, এমন পরিবারের সন্তানরা হয়তো বেশি আসছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. কাজী মুহাইমিন উস সাকিব অনলাইন জুয়ার প্রতিকার নিয়ে বলেন, ‘অনলাইনে যা হয়, অফলাইনেও তাই হয়। আমরা যখন একটি সফটওয়্যার ডেভেলপ করি, প্রথম অ্যানালাইসিস করি অফলাইনে কী হচ্ছে। অফলাইনে যে কাজটি হচ্ছে ওটাকে আমরা দক্ষ করার চেষ্টা করি সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে।
‘যদি অনলাইনে জুয়া খেলা হয়ে থাকে, যদি কেউ আসক্ত হয়ে থাকে তাহলে অফলাইনেও জুয়াটা আছে। ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার জন্য আমরা তথ্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার করছি, তার মানে জুয়া জিনিসটা খারাপ কিন্তু প্রযুক্তিকে খারাপ বলা যাবে না। কারণ প্রযুক্তিটা ব্যবহার যে করছে তাকে বলা যাবে, সে খারাপ। ঢালাওভাবে আমরা আইটির দোষ দিতে পারি না, যে আইটি খারাপ। আমি আইটির দোষ দেখছি না, দোষ দেখছি পর্যবেক্ষণের এবং সামাজিক অবক্ষয়তার।’
এ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ আরো বলেন, ‘যে কোনো খারাপ জিনিসের জন্য আমাদের অ্যানালাইসিস করা দরকার। কেন এই পথে আমার ছেলে-মেয়েরা যাচ্ছে। আমাকে যদি জিজ্ঞেসা করেন, তারা কেন অনলাইন জুয়ায় যাচ্ছে? আমি বলবো পড়ালেখার বাইরে খুব বেশি কিছু করার নেই। বিশেষত শহরমুখী যারা, আগেকার মতো খেলাধুলা, যেটাকে ফিজিক্যাল স্পোটর্স বলি, সেটার স্কোর দিনকে দিন কমে যাচ্ছে। তাদেরকে তো কিছু না কিছু করা লাগবে। সামগ্রিকভাবে যদি চিন্তা করি, যারা অনলাইন জুয়াতে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে, তারা কেন আসক্ত হচ্ছে সেই কারণ খুঁজে বের করা এবং সেই অনুযায়ী আইন করা, তার মধ্যে একটা উদহারণ হতে পারে তাদের পর্যাপ্ত বিনোদনের ব্যবস্থা করা।’
তিনি যোগ করেন, ‘সরকার যে কাজটি করতে পারে তা হলো শহর মনিটরিংয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে খুব শক্তিশালী প্রযুক্তিগত অবকাঠামো লাগবে। ওই প্রযুক্তি অবকাঠামোর সক্ষমতা এই মুহূর্তে হয়তো নেই, কিন্তু তৈরি করা যাবে না এটা বলা যাবে না। আমাদের সেই সক্ষমতাটা অর্জন করতে হবে। প্রযুক্তির এই অবকাঠামোর জন্য যা যা বিনিয়োগ দরকার ওটা আমাদের করতে হবে।’
আরও পড়ুন: প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেও জয়বঞ্চিত রিয়াল, শীর্ষেই থাকল বার্সা
কী কারণে অনলাইন জুয়ার আসক্তি বাড়ছে? এ থেকে বের হতে করণীয় কী হতে পারে? সমাজ ও পরিবারের দায়বদ্ধতা কতটা? এমন প্রশ্নের জবাবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রুমানা আক্তার বলেন, ‘যারা কিশোর বয়সী, যারা এখন প্রাপ্তবয়স্ক হতে চলেছে। অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ ও দ্বিতীয় বর্ষে পড়ে, এই বয়সগুলোতে অনলাইন জুয়ার প্রবণতাটা দেখা যাচ্ছে। তো আমার কাছে মনে হয়, আমাদের সন্তানদের হাতে ইন্টারনেট সহজলভ্য, ডিভাইস সহজলভ্য। তাদের কী কাজ করা উচিৎ, কোনটা করতে পারবে, কোনটা নৈতিক আর কোনটা অনৈতিক আমরা অভিভাবক হিসেবে তাদের ভেতরে ছোটবেলায় এই জিনিসগুলো ঢুকিয়ে দিতে পারি না। সন্তানদের যখন আমরা বড় করি, তাদের মধ্যে পরিচিতি, আমি কে? কোন পরিবারের সন্তান। সেই অনুভূতিটা যদি সন্তানের মধ্যে জাগানো যায়, সামাজিক পরিস্থিতি যে রকমই আসুন না কেন অপরাধ প্রবণতা তৈরি হয় না। অনৈতিক পরিবেশের মধ্যে থাকলেও সে অনৈতিক কাজ করবে না। তার মানে বাবা মাকে আগে সচেতন হতে হবে।’
এ মনোবিদ আরো বলেন, ‘সন্তান মানেই হলো ভালো খারাপ, সব কিছু নিয়ে তার সাথে শেয়ারিং থাকতে হবে। আজকে আমি তাকে শাসন করলাম কাল বন্ধুর মতো মিশতে হবে। যাতে করে সে কথা বলতে ফ্রি অনুভব। তার কোনোভাবে যাতে মনে হয়, এটা প্রকাশ করলে আমার মায়ের কাছে মার খেতে হবে।’
‘প্রথমেই হচ্ছে পারিবারিক বিষয়, আমার কছে মনে হয়। তার পরে যখন নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। কাউন্সিলিংয়ের বিষয় আছে। মনোবিশেষজ্ঞের দ্বারস্থ হওয়া। এই বয়সে শুধু অনলাইন জুয়া না মাদকাসক্তও তো হয়। সবার আগে মা বাবা যদি সন্তানদের সাথে সম্পর্কের বন্ধন না বাড়ায় , সন্তান যদি বাবা মায়ের সাথে শেয়ারিং না শেখে, সেই বন্ধুত্ব সম্পর্ক যদি না থাকে তাহলে সে নেতিবাচক কাজে জড়িয়ে পরবে।’ তিনি আরও বলেন।