শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পুলিশ সদর দফতর তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ ব্যাখ্যা দেয়।
ক্লোজ হওয়া কর্মকর্তারা হলেন: মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) এ কে এম মেহেদী হাসান, পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুল আলীম এবং ডিউটি অফিসার এসআই মাসুদুর রহমান।

পুলিশ সদর দফতর জানিয়েছে, স্পর্শকাতর সময়ে পুলিশের দায়িত্ব বণ্টন ও কর্মপদ্ধতি সুনির্দিষ্ট এসওপির (Standard Operating Procedure) মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। পুলিশের খাবার ও বিশ্রামের সুযোগ থাকলেও, তা পর্যায়ক্রমে দেয়া হয় যাতে দায়িত্ব পালনে কোনো বিরতি না থাকে। ওই তিন কর্মকর্তা এই এসওপি অনুসরণ করেননি, যার কারণে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর
ডিএমপির একটি সূত্র জানায়, ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর পক্ষ থেকে একটি স্পষ্ট নির্দেশনা ছিল যে কোনো থানা এলাকায় আওয়ামী লীগের মিছিল বা সমাবেশ হলে সংশ্লিষ্ট থানাকে তাৎক্ষণিকভাবে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। এই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর মোহাম্মদপুর এলাকা পরিদর্শনে যান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন নজরুল ইসলাম।
পরিদর্শনকালে তিনি দেখতে পান, আওয়ামী লীগের মিছিল প্রতিরোধে দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও ওই কর্মকর্তারা নিজেদের খাওয়া ও বিশ্রামে ব্যস্ত ছিলেন। এই দায়িত্বহীনতার কারণে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের ক্লোজ করার আদেশ দেয়া হয়। ঘটনার পরপরই ডিএমপি কমিশনারের আদেশে সহকারী পুলিশ কমিশনার এ কে এম মেহেদী হাসানকে ডিএমপি সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে।