এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে খুলনা, বাগেরহাট ও গোপালগঞ্জ নিয়ে গঠিত এই অঞ্চল হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম গ্রিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর। এই প্রকল্পের প্রথম ধাপে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ৬০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র, যা দেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের জাতীয় লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদ, পরিবেশবিদ, বিদেশি বিনিয়োগকারী ও স্থানীয় শিল্প উদ্যোক্তারা। সভাপতিত্ব করেন SDGi চেয়ারপার্সন ও সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী আসগর লবি। তত্ত্বাবধানে ছিলেন সদস্য সচিব এম এ এন শাহীন।
বক্তব্য রাখেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসনের অধ্যাপক ড. শেখ মাহমুদউল হাসান, পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের ড. কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন, ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর বিশ্বাস এবং খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনা। বিদেশি অংশীদারদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লি গ্যাং, ঝাং শিয়াওডং ও শি লেং।
আরও পড়ুন: খুলনার সর্ববৃহৎ পাখির হাট: কিচিরমিচিরে জেগে ওঠা এক ছুটির সকাল
বক্তারা বলেন, খুলনাকে ঘিরে গড়ে ওঠা এই সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নয়, এটি পরিবেশবান্ধব অর্থনীতির একটি রূপরেখা। একোস্টার-এডভান্সড কো-অপারেশন করপোরেশন (ACORC)-এর সহযোগিতায় এই প্রকল্পে টেকসই শিল্পায়ন, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস, গ্রিন ম্যানুফ্যাকচারিং ও ক্লিন পোর্ট ব্যবস্থাপনার কথা বলা হয়েছে।
এই প্রকল্প দেশের বৃহৎ নবায়নযোগ্য শক্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ, যার মাধ্যমে ২০০০ মেগাওয়াট শক্তি উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে অন্তত ২৫ শতাংশ বিদ্যুৎ সবুজ উৎস থেকে সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বোরকা পরে এজেন্ট ব্যাংকে ছিনতাই
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই উদ্যোগ খুলনাকে দেশের অন্যতম শিল্প ও বাণিজ্যিক হাব হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। কর্মসংস্থান, প্রযুক্তি স্থানান্তর ও দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক উন্নয়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
]]>