খুলনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার, অতিরিক্ত টহল

২ সপ্তাহ আগে
নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের আগামী বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ঘোষিত ‘লকডাউন কর্মসূচি’কে কেন্দ্র করে খুলনায় নেওয়া হয়েছে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। খুলনা মহানগর ও জেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের।

বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকেই নগরীর প্রবেশদ্বার, সরকারি স্থাপনা ও কৌশলগত এলাকায় বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। খুলনা মহানগর পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব ও যৌথ বাহিনী তল্লাশি ও টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে সেনা টহল জারি থাকায় নগরজুড়ে নিরাপত্তার কড়া চাদর পড়েছে।
 

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নগরীর অন্তত ৪০টি স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। খুলনা মহানগরের আটটি থানায় দুই ডজন পুলিশ গাড়ি টহলে রয়েছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যরাও মাঠে কাজ করছেন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে র‌্যাব ও সেনা সদস্যরা নিয়মিত টহল দিচ্ছেন।
নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতিতে খুলনা শহরজুড়ে চলছে সতর্কতা ও নজরদারি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও যে কোনো নাশকতা ঠেকাতে প্রশাসন বলছে, তারা সর্বোচ্চ প্রস্তুত রয়েছে।

আরও পড়ুন:  কক্সবাজারে বিশেষ সতর্কতা, ২৮ পয়েন্টে নিরাপত্তা চৌকি
 

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, সন্ধ্যার পর থেকেই প্রতিটি মোড়ে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কেউ যাতে নাশকতা বা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার চেষ্টা না করে, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে। ঢাকাগামী বাসেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে, যাতে নিষিদ্ধ সংগঠনের কেউ রাজধানীতে গিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে।
 

এদিকে বুধবার দিনভর ও মঙ্গলবার রাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে পাওয়ারহাউস মোড়ে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে তিনজন এবং বুধবার সকালে লবনচরা এলাকা থেকে আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন