আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলছে, এ মাস জুড়ে থাকবে শীতের তীব্রতা। এদিকে শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে শ্রমজীবী মানুষেরা কাজের সন্ধানে বাইরে নেমেছেন। আর ছিন্নমূল মানুষ জুবুথুবু হয়ে আশ্রয় খুঁজে নিয়েছেন লঞ্চঘাটে। আগুনে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকেই।
খুলনার লঞ্চঘাট এলাকায় দেখা যায়, শ্রমিকেরা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। অনেকে একত্রিত হয়ে চায়ের দোকানের চুলার পাশে উষ্ণতা নিচ্ছেন।
শিববাড়ি মোড়ে রিক্সা চালক হাবিবুর রহমান বলেন, শীতে লোক তেমন বাইরে বের হচ্ছে না। যাত্রী আগের তুলনায় অনেক কম। শীতের পাশাপাশি বাতাস এবং অতিরিক্ত কুয়াশা। সব মিলিয়ে যেনো নাজেহাল অবস্থা।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সাবেক কাউন্সিলর হত্যা: সরাসরি জড়িত ৩ আসামি গ্রেফতার
ইজিবাইকচালক সুমন বলেন, ঠান্ডার কারণে অটো চালাতে অসুবিধা হচ্ছে। তারপরও জীবন তো থেমে থাকবে না। তবে গত কয়েক দিনের তুলনায় আজকে শীত কম আছে। এই শীতে প্রয়োজন ছাড়া লোকজন তেমন বের হচ্ছে না। যার জন্য রাস্তায় যাত্রী কম।
শহরের চেয়ে প্রত্যন্ত গ্রামে শীতের তীব্রতা বেশি। অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। তীব্র শীতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন দরিদ্র পরিবারের বৃদ্ধ ও শিশুরা। শীতবস্ত্রের অভাবে মানবেতর দিন কাটছে তাদের।
খুলনা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘খুলনায় এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল গত ১০ জানুয়ারি ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বর্তমানে শীত একটু কম রয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সামনে শীত আরও বাড়বে। এ মাস জুড়েই শীত থাকবে।
]]>