মঙ্গলবার (২৪ জুন) ভুক্তভোগী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে খুলনায় আন্দোলন সংগঠনের সময় গত ৮ জুলাই সোনাডাঙ্গা যুব উন্নয়ন অধিদফতরের সামনে মুখোশধারী আওয়ামী লীগ ক্যাডার ও পুলিশের সদস্যরা মিলে বাপ্পিকে অপহরণ করে। এরপর ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় তাকে হাত-পা ও চোখ বাঁধা অবস্থায় আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে আড়ংঘাটা বাইপাস এলাকায় ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে।
বাপ্পির দায়ের করা মামলার আসামিরা হলেন- খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ জুয়েল, এসএম কামাল হোসেন, বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, সালাম মুর্শিদী, যুবলীগ নেতা ও শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ সোহেল, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল, নারায়ণচন্দ্র চন্দ, আক্তারুজ্জামান বাবু, রাশীদুজ্জামান মোড়ল, খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম, খুলনা মহানগর যুবলীগের সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশ, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুনুর রশীদ, খুলনা মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহাজালাল সুজন, কেএমপি কমিশনার মোজাম্মেল হক, আরসি ফুডের ইকবাল বাহার চৌধুরী, উপ-পুলিশ কমিশনার সোনালী সেন, এডিসি গোপিনাথ কানজিলাল, ডিবির নুরুজ্জামান, লবণচরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির, এসআই হাসান, এসআই সুমন মণ্ডল, সোনাডাঙ্গা থানার সাবেক ওসি মমতাজ, মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাইফ, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের এডিডি (সাবেক এমপি আমির হোসেন আমুর সাবেক পিএস) জহিরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, মুজগুন্নি আবাসিক এলাকার মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে জগলুল কাদের।
আরও পড়ুন: শেখ হেলাল ও তন্ময়ের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার চাঁদাবাজির মামলা
অভিযোগকারী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থান দমনের নামে আমাকে তুলে নিয়ে নির্যাতন চালানো হয়। এ ঘটনার জন্য দায়ীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই। যেন ভবিষ্যতে আর কাউকে আন্দোলনের কারণে এভাবে গুম হতে না হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার সময় অনেক মুখোশধারী ছিল, যাদের চিনতে পারিনি। তদন্ত সংস্থা যেন প্রকৃত জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের মুখোমুখি দাঁড় করায়।’
]]>